মুশফিকের বিদায়ে হারের পথে বাংলাদেশ
ডেস্ক নিউজ:
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টিবিঘ্নিত কার্টেল ওভারের ম্যাচে রান তাড়া করছে বাংলাদেশ। যেখানে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় হারের পথে টাইগাররা।
ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৩৫ রান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৩০ ওভারে সাত উইকেটে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচ জিততে চাইলে বাংলাদেশকে ডি/এল মেথডে ২৪৫ রান করতে হবে। এ অবস্থায় রান তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। অ্যাডাম মিলনের বলে আউট হয়ে দলে ফিরেই ডাক মারার স্বাদ পান তিনি।
শুরুতেই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক বিজয়। দুজনের দৃঢ়তায় ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়তে থাকে। তবে সপ্তম ওভারে আবার ছন্দপতন। এবার ইশ সোধির বলে বোল্ড হন ১৫ রান করা শান্ত।
একপ্রান্ত আগলে ভালোভাবেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন এনামুল হক বিজয়। ছিলেন ফিফটির পথেও। তবে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে ক্লার্কসনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তার হাতেই ধরা পড়েন এ ওপেনার। যা এই কিউই পেসারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট।
ভালো খেলতে খেলতে আচমকা এক শটে আউট হয়ে যাওয়াটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন লিটন দাস। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ক্লার্কসনের নিরীহ এক বাউন্সারে দোটানায় খেলতে গিয়ে উইকেটের পিছে ক্যাচ দেন তিনি, করেন ২২ রান।
দলকে জয়ের পথে রাখতে বড় ভূমিকা ছিল মুশফিকুর রহিমের। তবে রিভার্স সুইপে আত্মাহুতি দিয়ে দলকে আরো বিপদে ফেলেন এ ব্যাটার। মাত্র ৪ রান করেন তিনি। আফিফ ও হৃদয় এখন দলের হয়ে লড়ছেন।
দিনের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার কাপ্তান নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভারেই ২ উইকেট শিকার করে তার সিদ্ধান্ত যেন সঠিক প্রমাণ করেছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম।
শরিফুলের দারুণ বোলিংয়ে এদিন রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলস। পরের গল্পটা অবশ্য শুধুই টম লাথাম আর উইল ইয়ংয়ের। এ দুই ব্যাটারের পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ নিজেদের দিকে নেয় কিউইরা।
বৃষ্টির কারণে এ সময় দুইবার ম্যাচ থেমে যায়। টসের পর ইনিংস শুরুর আগেও একবার এসেছিল বৃষ্টির বাধা। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে। তবে প্রাকৃতিক এ কারণ কিউই দুই ব্যাটারের ছন্দপতন ঘটাতে পারেনি।
তৃতীয় উইকেটে ১৭১ রান যোগ করেন লাথাম ও ইয়ং। দুজনই ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে ৯২ রানে মেহেদী মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে হতাশ হন লাথাম। অবশ্য সঙ্গী না পারলেও ঠিকই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ইয়ং।
মিরাজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ইয়ং। শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ১০৫ রান করেন তিনি। মাঝে ১১ বলে ২০ রানের ক্যামিও উপহার দেন মার্ক চাপম্যান।
ইনিংসের শেষ ওভারে তিনটি রান আউট করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। যদিও এর আগে বেশ ছন্নছাড়া ছিলেন প্রায় সবাই। টাইগার বোলারদের মাঝে শরিফুল দুটি ও মিরাজ একটি উইকেট নেন।