ধোনির মামলায় জেলে গেলেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা
স্পোর্টস ডেস্কঃ
ভারতীয় ক্রিকেটের সাবেক সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। জাতীয় দলের জার্সিকে বিদায় বললেও এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে যাচ্ছেন তিনি। এবার আইপিএলে ফিক্সিং কাণ্ডে ধোনির করা পুরোনো এক মামলায় ভারতের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
শুক্রবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আদালতের মানহানির মামলায় এই রায় দেন। জানা গেছে, কারাদণ্ড পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত ঐ পুলিশ কর্মকর্তার (আইপিএস) নাম সম্পদ কুমার। তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তবে এখনই জেলে যেতে হবে না সম্পদকে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য ৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে সাবেক ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনা কেন্দ্র করে এই মামলার উদ্ভব। ২০১৩ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠলে সেটির তদন্তের দায়িত্ব ছিলেন তখনকার তামিলনাড়ু পুলিশের সম্পদ কুমার।
পরের বছর একটি টেলিভিশনে ওই তদন্তের কথা বলতে গিয়ে ফিক্সিংয়ে ধোনির সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর জেরেই তার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি রুপি মানহানির মামলা করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
বিষয়টি নিয়ে নানা ঘটনার একপর্যায়ে সম্পদের বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ও মাদ্রাজ হাইকোর্টের মানহানির অভিযোগ তুলে পিটিশন দায়ের করেন ধোনি।
ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ধোনির অভিযোগ, ‘সম্পদ বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট মুদগাল কমিটির (বিসিসিআইয়ের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিটি) কিছু রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে রেখেছিলেন, যা তারা বিশেষ তদন্তকারী দলকে দেখতে দেননি।’
ধোনির দাবি, সম্পদ এই বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন, আদালত তথ্য গোপন করেছেন। পাশাপাশি মাদ্রাজ হাইকোর্টের কিছু জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল সম্পদের।
২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তিন ক্রিকেটার শ্রীশান্ত, অজিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চবনকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। একই বছর রাজস্থান রয়্যালসকে দুই বছরের জন্য আইপিএলে নিষিদ্ধ করা হয়। সেবার ফিক্সিং আলোচনায় ছিল চেন্নাই সুপার কিংস দলপতি ধোনির নামও। যদিও পরবর্তীতে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।