কালিগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৩ কর্মসূচি পালন
এস.কে ফিরোজ আহম্মেদ :
“নারীর জন্য বিনিয়োগ,সহিংসতা প্রতিরোধ।” স্লোগানকে সামনে রেখে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার আয়োজনে এক র্্যালী, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ ০৯-১২-২০২৩ তারিখ শনিবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরার সভাপতিত্বে বেগম রোকেয়া দিবস ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৩ এবং নারী নির্যাতন নির্মূল করনে ১৬ দিন ব্যাপি(২৫শে নভেম্বরে -১০ ডিসেম্বর) প্রচারাভিযান ২০২৩ উপলক্ষে মানববন্ধন, র্্যালী ও আলোচনা সভা কর্মসূচি পালিত হয়।
উক্ত কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্ণা চক্রবর্তী, উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, পুলিশ কর্মকর্তা মি: প্রদীপ,উপজেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মি: সফু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস বাচ্চু, ব্র্যাকের কালিগঞ্জ শাখার সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচির উপজেলা ম্যানেজার গোপালকুন্ডু, ব্র্যাকের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার হাবিবুর রহমান ও ব্র্যাকের ইমরান হোসেন সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার নারী নির্যাতন দমনে কঠোর। তারই ধারাবাহিকতায় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও সর্বদা সচেষ্ট ও সজাগ। যার ফলে বর্তমানে নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এবং সেই সাথে নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাছাড়া বেগম রোকেয়া দিবসের এই কর্মসূচির প্রতিপাদ্য বাস্তবায়ন করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানটিতে সার্বিক সহযোগিতা করেন বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক।
উল্লেখ্য, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস উদ্যাপন কমিটি ১৯৯৭ সাল থেকে এই দিবস ও পক্ষ পালন করছে।
এই দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপনে নানা কর্মসূচি নেয়। এ বছরও এ উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নারী নির্যাতন বন্ধ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।