সাতক্ষীরা -১আসনে নৌকা পেয়েও স্বস্তিতে নেই মাঝি।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃআসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে নমনীয় থাকবে আলীগ। এমন ঘোষনার পরে সাতক্ষীরা -১আসনে দলীয় মনোনায়ন পাওয়ার পরেও দ্বন্দে আর বিভক্তিতে জড়িয়ে পড়েছে আ”লীগ। ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনায়ন জমা দিয়ে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়ে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে তিন প্রার্থী এর মধ্যে জাতীয় পার্টি বেশ শক্ত অবস্তানে রয়েছে । নেতাদের এমন আচারনের কারনে কর্মীদের মনে নৌকার বিজয় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে নৌকার ধস নামতে পারে বলে মাঠ পর্যায়ে এমন গুজ্ঞন শোনা যাচ্ছে। চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর কলারোয়া উপজেলার সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মদ স্বপনকে জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনায়ন দেন। নৌকার কাঙ্কিত টিকিট পেয়েও টেনশানে আর স্বস্তি নেই তিনি। ইতিমধ্যে দলীয় তিন হেবিওয়েট নেতা গত ৩০ নভেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনায়ন জমা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন । স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ”লীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মুজিবর রহমান,তালা উপজেলা আ”লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, জেলা আলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব। এদিকে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন দলীয় মনোনায়ন পাওয়ার পরে দ্বন্দে আর দ্বিধাবিভক্ততে জড়িয়ে পড়েছে তালা ওকলারোয়া উপজেলার আ’লীগ। ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের বিরুদ্বে নানা অনিময়ের অভিযোগ তুলে তার মনোনায়ন বাতিলের আবেদন জানিয়েছে তারা। ইতিপূর্বে কলারোয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের দলীয় মনোনায়ন পেয়ে তিনি পরাজয় বরন করেছে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে এমনটাই ভাস্য ঐ তিন নেতার ।
এদিকে গুজ্ঞন উড়িয়ে দিয়ে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, নৌকার সামনে কোন প্রার্থী টিকতে পারবেনা।
একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা নিজেদের হাতে লেখা চিঠি ফেসবুকে পোষ্ট করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।
মামলার স্বাক্ষীর বিষয়ে তিনি বলেন, আমার শশুর জননেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার বাদী ছিলেন তার মৃত্যুন্তে আমি এভিট এভিট করে মামলার বাদী হয়েছি।দীর্ঘ২১ বছর মামলা পরিচালনা করার পরে সব সাক্ষী একত্রিত করে কাঙ্কিত রায় এনে দিয়েছি। যারা এখন বিভ্রান্তি মুলক কথা বার্তা বলে বেড়াচ্ছে তাদের চরিত্র সম্পর্কে নেত্রী ভাল জানে। আমি নৌকার মনোনায়ন পাওয়ার পরে তালাও কলারোয়ার মানুষের যে উল্লাস দেখেছি, তার সামনে কোন বুদ্ধিমান প্রার্থী দাঁড়াতে পারবেনা বলে আশা করি।কলারোয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ”লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, স্বপনের অতীত কর্মকান্ড সম্পর্কে কলারোয়ার মানুষ থেকে শুরু করে প্রসাশনের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সবই জানে।তার অনিয়ম দূনীতির নিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষপর্যায়ে পত্রিকা গুলোতে একাধিক বার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাকে নৌকার দেওয়ার কারনে সাতক্ষীরা -১পরাজয় হবে নিশ্চিত বলে তিনি দাবী করেন। জেলা আ’লীগের কৃষি বিষায়ক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মুজিব বলেন, বিগত উপজেলার পরিষদের নির্বাচনে নৌকার মনোনায়ন পেয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ট পরাজয় লাভ করেন স্বপন । এছাড়া জননেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় তিনি সাক্ষী হয়েও বিএনপি নেতা ও তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নেতৃত্বে তিনি হাওয়া ভবনে গিয়ে স্বাক্ষী এভিটএভিট করে আসেন। তিনি জামায়ত বিএনপির প্রশ্রয় দাতা হিসাবে এলাকায় বেশ আলোচিত।
তিনি আরো বলেন, ২০১৩সালে কলারোয়ার উপজেলায় ৫জন আ”লীগ নেতাকে হত্যা করে জামায়ত বিএনপির সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও এই হত্যাকান্ডের কোন বিচার হয়নি।বিচার কিভাবে হবে? বর্তমান সংসদ সদস্যের সাথে স্বপন হাত মিলিয়ে মামলার আসামীদের প্রশ্রয় দিয়ে তিনি তাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তালা উপজেলা আ”লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, স্বপন কোন জনপ্রিয় লোক না। কলারোয়া মানুষ তার কর্মকান্ড সম্পর্কে জানে বলে তার সাথে নির্বাচনী প্রচারনায় নেই। বিগত দিনে সে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে৭৫ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭২টা কেন্দ্রেই ৩৮৯০০ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হয়েছে ।তাকে মনোনায়ন দেওয়ার কারনে নেতা কর্মীদের মনে হতাশা বিরাজ করছে।নেত্রী আমাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার মত ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে আমরা প্রার্থী হয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা ।
এদিকে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রকৌশলী মুজিবর রহমান বলেন, বিগত দিনে সংসদ সদস্য থাকা কালীন এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছি।এবার জনগন আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। স্বপন মাঠে এসে তার জনপ্রিয়তা জাচাই করে দেখুক সে পাশ করতে পারে কিনা।