মিগজাউমের আঘাতে চেন্নাইয়ে ১৭ জনের মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডব চলছে। এখন অন্ধ্রপ্রদেশের বাপাটলাতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। এছাড়া তামিলনাডু, অন্ধ্র প্রদেশে ও ওড়িশায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় চেন্নাইয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়টি নেল্লোর থেকে ৭০ কিমি উত্তর-উত্তরপূর্ব, কবালি থেকে ৩৫ কিমি পূর্ব-উত্তরপূর্ব, বাপাতলা থেকে ৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, মছলিপত্তনম থেকে ১৫০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, চেন্নাই থেকে ২৩০ কিমি উত্তরে অবস্থান করছে।
দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে এগিয়ে চলেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। গত ৬ ঘণ্টায় উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। এর আগের ৬ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি ৭ কিমি বেগে ছুটছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থল ছিল ওঙ্গোলের ২৫ কিমি পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতোমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাগরে শক্তি বৃদ্ধি করেছে মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড় থেকে পরিণত হয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এর প্রভাবেই দক্ষিণ ভারতের পূর্ব উপকূল জুড়ে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মিগজাউমের প্রভাবে ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে চেন্নাই। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বহু এলাকাই এখন জলমগ্ন। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তাঘাট কার্যত নদীতে পরিণত হয়েছে। বহু যানবাহন পানির স্রোতে ভেসে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ, দেওয়াল এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা সাময়িক ভাবে স্থগিত।
অচল হয়ে পড়েছে মেট্রো স্টেশনগুলোও। অবিরাম বর্ষণের কারণে চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে শহরের বিশাল এলাকা। পানির স্রোতে ভেসে গেছে বহু গাড়ি।
বৃষ্টির কারণে চেন্নাই বিমানবন্দর কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল প্লেন ওঠানামা। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে অন্তত ১২টি প্লেনকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাতিল হয়েছে চারটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।