নলতায় বিএনপি নেতা নজরুলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ
নলতা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) শাখার প্রভাষক ও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার বিলকাজলা গ্রামের মৃত বদিউল্যা গাজীর পুত্র। তার বিরুদ্ধে নাশকতার নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে নলতার বিলকাজলা গ্রামের চিত্তরঞ্জন সরকারের ছেলে রবিন্দ্রনাথ সরকার অভিযোগ এনে বলেন, ভারতে অবস্থানরত কানাই লাল ১৯৬৫ সালে দেশত্যাগের পর বিলকাজলা মৌজার এস, এ ২ নং খতিয়ানের সাবেক নালিশী ১৮৬ দাগে ১৯ একর ৬৫ শতক জমি সরকার বাহাদুর অর্পিত সম্পত্তি তালিকা ভুক্ত করেন। বর্ণিত সম্পত্তি খাল শ্রেণী ভুক্ত আছে। এখনও চারটি এলাকার পানি চলাচল করে পাচটি সংযোগ রাস্তা চলমান আছে, ক্রম বিবর্তনে খালের কিছু অংশে ভরাট করে রাস্তা হয়। আমি জনৈক আহবান ও নছিমের দখলী থাকা অবস্থায় ১০ শতক জমি তাহাদের নিকট থেকে লিখিত পজেশন খরিদ করে আমি ব্যাবসায়ী ভিত্তিতে বাগদার রেনু পোনা উৎপাদন ও বিক্রয় করে আসছি। এমতাবস্তায় বিএনপি নেতা ও ভূমিদস্যু নজরুল এলাকার কিছু আওয়ামীলীগ নামধারী ব্যক্তিদের সাথে ভাড়ায় চুক্তি নিয়ে ২৫/৩০ জন লাঠিয়াল সন্ত্রাসীভাবে গত ১ ডিসেম্বর রাতে আমার পাকা বসতভিটা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (চিংড়ী পোনা নার্সিংপয়েন্ট) ভাংচুর করে যবর দখল করে নেয়। এসময় আমি ও আমর পরিবার বাঁধা দিতে গেলে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে আক্রমন করিতে উদ্ধত হয় এবং জমি যায়গা ছেড়ে খুব দ্রুত পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে হুমকি প্রদান করে। এছাড়া ভাঙচুর করার সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা নগদ অর্থ নিয়ে যায়। এই অবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সরেজমিনে আব্দুল মোমিন, সিরাজ, রবিউল, বক্কর আলী জানায়, বিএনপি নেতা ভূমিদস্যু নজরুল কাজী আলাউদ্দীন কলেজে শিক্ষকতা করলেও গোপনে বিলকাজলা, বাবুরআবাদসহ আসপাশের এলাকা থেকে সাধারণ মানুষদের দৈনিক চুক্তিতে ভাড়া করে ঢাকায় বিএনপির মিছিলে পাঠায়। তার সাথে সাতক্ষীরা-৩ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীনের সখ্যতা থাকার কারণে তার নির্দেশে সে গোপনে এলাকায় গোপনে নাশকতার নেতৃত্ব দেয়। এমনকি বিএনপির সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীনের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকায় তৎকালীন কাজী আলাউদ্দীন ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপির সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন তাকে উক্ত কলেজে চাকরী দেন। কিন্তু একজন শিক্ষক হতে যে সকল কাগজপত্র তা তার আছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে এলাকাবাসী। এছাড়াও কারোর জমির দলিলে কোন ক্ষুদ পরিমাণ সমস্যার খবর পেলে ভূয়া দলিলপত্র বানিয়ে নজরুল ভাড়াটিয়া গুন্ডা নিয়ে সেসব জমি জোর করে দখল করে নিচ্ছে বলে জানা যায়। প্রশাসনের নিকট তার এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়েছে এলাকাবাসী।