ম্যারাডোনাকে হারানোর তিন বছর
স্পোর্টস ডেস্ক:
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর। আগে থেকে জানলে হয়তো দিনটা আসতেই দিত না ফুটবলপ্রেমীরা। কারণ, ঐ দিনই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা।
তবে কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা তারকা বিশ্বের শত কোটি ভক্তের চোখের আড়ালে চলে গেলেও তার নৈপুণ্য এখনও বয়ে বেড়ায় ফুটবলপ্রেমীরা। সেই ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
বিশ্ব ফুটবলের ঈশ্বর, উজ্জ্বল নক্ষত্র ম্যারাডোনার মৃত্যুর তিনটি বছর কেটে গেলো। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর কাউকে কিছু না বলে ২৫ নভেম্বর, ২০২০ পরপারে পাড়ি জমান এ আলবিসেলেস্তে কিংবদন্তি।
৫ ফুট ৫ ইঞ্চির ম্যারাডোনার বাঁ পায়ের জাদুতে মোহিত হত ফুটবল বিশ্ব। এখনও তার পুরোনো ভিডিও দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ফুটবলপ্রেমীরা। অতীতে অসংখ্য ফুটবলারের অনুপ্রেরণা ছিলেন তিনি, এখনও আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। সুপারস্টার ম্যারাডোনা শৈল্পিক ও নৈপুণ্যতায় নিজ দেশ আর্জেন্টিনাকে এনে দেন বিশ্বকাপ ট্রফিসহ অগণিত সাফল্য। তাই দেশের মানুষের হৃদয়ে তার স্থান সবার ওপরে।
১৯৮৪ সালে ২৪ বছর বয়সের দুর্বার ক্যারিয়ারের টগবগে ফুটবল তারকা ম্যারাডোনা যোগ দেন দক্ষিণ ইতালির সাদামাটা দল নাপোলিতে। ক্লাব ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র ম্যারাডোনা, তার একক নৈপুণ্যে অখ্যাত নাপোলি ঘরে তোলেন ইউরোপ দ্বিতীয় সেরা ট্রফি ইউরোপা লিগ এবং সেই সঙ্গে দুই দুইবার হাত উঁচিয়ে ধরেন ইতালীয় ‘সিরি আ’ ট্রফিও। বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে নাপোলি ক্লাবের নাম।
নাপোলি ছিল ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতম অধ্যায়। তিনি নাপোলিকে উজাড় করে দিয়েছেন, সেই সঙ্গে নাপোলিও তাকে চিরদিন মনে রাখার জন্য তার গায়ে জড়ানো ১০ নাম্বার জার্সি কাউকে কখনও দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মৃত্যুর পর নাপোলির ‘সাম পাওলো’ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়াম’।
ফুটবল পাগল দেশ ইতালির শহর নেপলসে বাস করে প্রায় দুই লাখ মানুষ। ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনার প্রতি তাদেরও ভালোবাসা ও সমবেদনার কমতি নেই। পৃথিবী ছেড়ে ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনা আজ তিন বছর হলো ওপারে পাড়ি জমালেও যতদিন ফুটবল বেঁচে থাকবে, সেই সঙ্গে তার উজ্জ্বলতম ক্যারিয়ারের ঐশ্বরিক ফুটবলের জন্য ইতিহাসে সেরাদের সেরা হয়ে থাকবেন তিনি শতাব্দীর পর শতাব্দী। কারণ কীর্তিমানের সৃষ্টির কোনো মৃত্যু নেই।