দেবহাটায় পাচারের ৪ মাস পর ভারত থেকে ফিরল কিশোরী

স্টাফ রিপোর্টার:

সাতক্ষীরার দেবহাটায় উচ্চ বেতনে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ভারতে পাচারের ৪ মাস পর প্রশাসন ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় অবশেষে দেশে ফিরেছে এক কিশোরী (১৬)। ভিকটিম ওই কিশোরী দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের কাজীমহল্যা গ্রামের মৃত হায়াত আলীর মেয়ে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলোক জবানবন্দি প্রদান করে ভিকটিম কিশোরী। এরআগে শুক্রবার বিকেলে জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে বেনাপোল বন্দর হয়ে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সদস্যদের হাতে ভিকটিম কিশোরীকে তুলে দেয় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। পরে তাকে দেবহাটা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২১ জুলাই একই গ্রামের ফুনটি খাতুন নামের এক নারী ভিকটিম ওই কিশোরীকে সাতক্ষীরা শহরের এল্লারচরে বেশি বেতনের চাকুরি দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে ভিকটিমকে সীমান্ত টপকে ভারতে পাচারের পর ওই নারীকে আসামি করে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে দেবহাটা থানায় একটি মামলা করে ভিকটিমের পরিবার। তারপর থেকেই ভিকটিম কিশোরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের প্রশাসন ও বেসরকারি সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার।
সবশেষে দীর্ঘ চারমাস প্রচেষ্টার পর দু’দেশের যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার বেনাপোল বন্দর হয়ে দেশে প্রবেশ করে ওই কিশোরী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার ওসি বাবুল আক্তার বলেন, দেশে ফিরিয়ে আনার পর শনিবার তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে পাচারের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলোক জবানবন্দি দিয়েছে ভিকটিম কিশোরী।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)