শ্যামনগরে যমুনা নদী পুন:খননে অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রেসবিজ্ঞপ্তি :
শ্যামনগরে যমুনা নদী খননে অনিয়েমর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরকার অনুমোদিত বাস্তুহারা ভূমিহীন সমাজকল্যান সংস্থা ও প্রতিবন্ধী কল্যান ফাউন্ডেশন শ্যামনগরের সভাপতি মো. মোকছেদ আলী জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা, নির্বাহী প্রকৌশলী ১/২, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাতক্ষীরা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি), শ্যামনগর বরাবর অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলাধীন যমুনা নদীর সিমানার বাইরে যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে বাদঘাটা মৌজার মধ্যে সংস্থা দুটির অফিস ঘর নির্মাণ করে ৩০বছর ধরে বাস্তুহারা ভূমিহীনদের সেবা করে আসছি।
এমতাবস্থায় কালিগঞ্জ কাকশিয়ালী নদী থেকে শ্যামনগর মাদার নদী পর্যন্ত যমুনা নদী খননের কাজে সহযোগিতা করে আসছি। চন্ডিপুর মৌজার শ্মশান ঘাটা নিয়ে যমুনা খনন কাজে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে দীর্ঘদিন খনন কাজ বন্ধ থাকে। ইতিমধ্যে ৪টি মৌজা বাদ দিয়ে ০৬-০৬-২৩ তারিখ কোন নোটিশ বা প্রচার ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে হায়বাতপুর মৌজা সংলগ্ন বাদঘাটা মৌজায় খনন কাজ উদ্বোধন করা হয়। ০৭-০৬-২৩ তারিখ খনন কাজ শুরু হয়।
আমি বাস্তুহারা সমাজকল্যান সংস্থা ও প্রতিবন্ধী কল্যান ফাউন্ডেশন শ্যামনগর সভাপতি। সেকারণে আমার কাছে ম্যাপ থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার আমাকে ৪টি মৌজার ম্যাপ ও যমুনা নদীর ম্যাপ নিয়ে আসতে বলে। আমি ম্যাপ নিতে যাওয়ার পথে মোবাইলে জানতে পারি আমার ২টি সংস্থার অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। আমার অফিস ২টি খনন এলাকা সীমানার বাইরে। এছাড়াও কোন নির্দেশনা ছাড়াই অফিস ঘর ভাংচুর করে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। যমুনা খনন যেভাবে হওয়ার সেভাবে না হওয়ায় অনিয়ম হওয়ায় এবং অন্যায়ভাবে জাতীয় শিশু কিশোর রাসেল পরিষদের অফিস ও কয়েকটি দোকানসহ আমার অফিস ভাংচুর করায় তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এ অভিযোগ করছি। এ ঘটনায় ৩০-১০-২০২৩ তারিখে শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।