তালায় শিক্ষক গওছুল কবিরের বিরুদ্ধে তদন্তে বিভ্রাট সৃষ্টি ,পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন!
তালা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার তালায় শহীদ আলী আহম্মদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক মো: গওছুল কবিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানী, অশ্লীল আচারণ সহ নানাবিধি অভিযোগের তদন্তে বিভ্রাট সৃষ্ট হওয়ায় পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার(১৭ ই অক্টোবার) উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত বিষয়টি পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। নতুন তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো: আরাফাত হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেখ ফিরোজ আহমেদ ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
জানাযায়, শহীদ আলী আহম্মদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকবৃন্দ ০৩/১০/২০২৩ তারিখে শিক্ষক মো: গওছুল কবিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানী, অশ্লীল আচারণ সহ নানাবিধি অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু তদন্তকালীন সময়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার আচরণ খুবই অস্বাভাবিক ও অসৌজন্যমূলক ছিল এবং তিনি বাচ্চাদের বেয়াদব, প্রেম নিবেদনকারী বলিয়া গালিগালাজ করেন। এবং আপোষ মীমাংসা করে নেওয়ার কথা বলেন। এমতবস্থায় উক্ত কমিটিরে কাছে তদন্ত সচ্ছতা নিয়ে সন্ধিহীন থাকায় পুনরায় তদন্তের দাবি করেন অভিভাবকরা।
শিক্ষকের বিষয়ে জানাযায়, শহীদ আলী আহম্মদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: গওছুল কবির শিক্ষার্থীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়তে চাপ দেওয়া সহ এরসাথে বিভিন্ন সময়ে তিনি একাধিক ছাত্রীকে নানান অযুহাতে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হযরানী করা সহ ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে উত্ত্যাক্ত করেন। এমনকি এক ছাত্রীর সহিত অপকর্ম সম্পাদন করার সময় অন্য ছাত্রীরা দেখে ফেলায় তাদেরও নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। সম্প্রতি এক ছাত্রী কিডনি বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক গওছল কবির অশ্লিল ভঙ্গিতে বলেন- কাছে আয়, কিডনি শরীরের কোথায় থাকে তা শিখিয়ে দিই। তার এহন কর্মকান্ডে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে তাদের অভিভাবকদের অবহিত করেন। অভিযোগে স্বাক্ষরকারী এবং স্বাক্ষর করার বাইরে অভিযোগ করা অভিভাবকদের মধ্যে কলেজ ও স্কুলের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী এবং কৃষক সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন।
অভিভাবকরা জানান, পিতা-মাতার পরে শিক্ষকের অবস্থান। আর সেই শিক্ষক যদি ছাত্রীদের যৌন হয়রানী, অশ্লীল আচারণ সহ নানাবিধি অপকর্ম করেন সেটি কখনও বাঞ্চনীয় নই। এমনকি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে গঠিত তদন্ত কমিটি যদি ছাত্রীদের সহিত অসচারণ করে সেটিও গ্রহনযোগ্য নই। তাই পুনরায় তদন্তের দাবি জানানো সহ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে পাঠদান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
Please follow and like us: