এএসপি জিয়াউরের এত সম্পদ!
ডেস্ক নিউজ:
অন্তত ১০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক সিআইডির এএসপি জিয়াউর রহমান। রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে সাড়ে ৯ তলা বণিজ্যিক ভবন আছে তার। পাশেই স্ত্রীর নামে সাড়ে ৬ তলা বাড়ি। এছাড়া, ময়মনসিংহের ভালুকায় স্ত্রীর নামে কিনেছেন বিপুল সম্পদ। গফরগাঁওয়ে বানিয়েছেন দোতলা বাড়ি। আয়কর রিটার্নের নথিপত্র থেকে এসব কিছুর প্রমাণ মিলেছে।
রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বর সেকশন ডি-ব্লকে চিড়িয়াখানা সড়কে জাওয়াদ টাওয়ারের মালিক জিয়াউর রহমান। প্রায় পাঁচ শতকের প্লটে ২০১৫-১৬ সালে নির্মাণ হয় সাড়ে ৯ তলা ভবন। ২০১৮ সালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়েছেন। ভবনের মোট আয়তন প্রায় ২১ হাজার বর্গফুট।
পাশেই জি-ব্লকের ৩/২০ প্লটে সাড়ে ৬ তলা ভবনটির মালিক জিয়াউর রহমানের স্ত্রী জেসমিন নাহার সঞ্চিতা। জমিসহ ভবনটির দাম ২ কোটি ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৬২ টাকা। যদিও বাজারমূল্য ৫ কোটি টাকার ওপরে।
শুধু রাজধানী নয়, গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ২২ শতক জমিতে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন জিয়াউর। ভালুকা ও গফরগাঁওয়ে কিনেছেন অন্তত ৫০ বিঘা জমি।
বিপুল সম্পত্তি গোপন করতে আয়কর নথিতেও প্রতারণা করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা। সম্পদের উৎস হিসেবে পুলিশের চাকরি ছাড়া অন্যকিছুর প্রমাণ নেই।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পরে কথা বলবেন বলে জানান জিয়াউর রহমান। এরপর আর ফোন ধরেননি তিনি।
কথা বলতে রাজি হয়নি সিআইডিও। তবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে জিয়াউরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘সরকারি চাকরি করলে সর্বোচ্চ পদে থাকলেও এত পরিমাণ সম্পদ থাকার কথা না, সরাসরি দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। তাই তাঁকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’
জিয়াউর রহমান ১৯৯০ সালে পুলিশের উপ–পরিদর্শক (এসআই) পদে যোগ দিয়ে ১৭ বছর পরে পুলিশ পরির্দশক বা ওসি হন ২০০৭ সালে। আর এএসপি হন বছর দুয়েক আগে। এখন তার মাসিক বেতন-ভাতা ৫০ হাজার টাকারও কম।