তালায় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক গওছুল কবীরের বিরুদ্ধে নানাবিধি অভিযোগ, তদন্ত চলছে

স্টাফ রিপোর্টার:
তালায় শহীদ আলী আহম্দ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক মো: গওছুল কবীরের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অশালীন আচারণ ও কুপ্রস্তাব দেওয়ায় অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দায়ের করার প্রেক্ষিতে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এমন একটি অভিযোগ গত ৩ অক্টোবার উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক কাকলী রাণী,পবন কুমার সরকার, উত্তম দাস আরও অনেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররের কাছে দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয় জানাযায়,  তালায় শহীদ আলী আহম্দ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক মো: গওছুল কবীর দীর্ঘদিন যাবত স্কুলের কোমলমতি ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েরা সহ একাধিক শ্রেণীর মেয়েরা গওছুল কবীরের নিকট প্রাইভেট পড়েন। সেকারণে আনুমানিক ০২ মাস পূর্বে ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়তে গেলে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কবিতা(ছদ্মনাম) সহিত শিক্ষক গওছুল কবীর অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মেয়েরা দেখে ফেলেন।
পরবর্তী শিক্ষক গওছুল কবীর সকল ছাত্রীদের বিভিন্ন ধরণের হুমকিদিয়ে বলেন,কোথাও বলিলে তোদেরকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিব। তাছাড়াও ওই শিক্ষক বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রকার কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
সম্প্রতি শিক্ষক গওছুল কবীর এক ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করে এবং বলে তার কাউকে বলিলে তাদেরকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবে। সেকারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতংকের মধ্য দিনযাপন করছে। লোকলজ্জা ও ভয়ের কারণে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা কোথাও কিছু বলতে সাহস পায় না । উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ঘটন করে বিষয়টি সর্ম্পকে তদন্ত করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাজমুন নাহান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার  সুমনা শারমিন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী কৌশিক রায় ১৫ ই অক্টোবার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস রুমে তদন্ত বৈঠক বসান।
এসময় অভিযোগকারী অভিভাবকরাসহ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সমনীতা রানী অথৈ, তৃঞ্চা দাশ,প্রিয়ন্তী সরকার হাজির হয়ে তাদের সাথে অশালীন আচারণের বিষয় অবহিত করেন। উক্ত সময়ও ওই শিক্ষক গওছুল কবীর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করাসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের সহিত অসদাচরণ করেন।
অভিযোগকারী অভিভাবকরা জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতার পরে নিরপদ স্থান হলো  তাদের শিক্ষক। আর সেই শিক্ষক যদি তার ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচারণ ও কুপ্রস্তাব প্রদান করেন তাহলে এসকল ছাত্রীরা নিরাপদ কোথায় ? আমরা ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি করছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক  গওছুল কবীর এবিষয়ে বলেন, শহীদ আলী আহম্দ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদার, সহকারী শিক্ষক মুক্তি রানী ঘোষ সহ কয়েকজ শিক্ষকরা মিলে আমার বিরুদ্ধে সম্পুর্ণ মিথ্যা ও সাজানো একটি অভিযোগ অভিভাবক ও ছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে দায়ের করেছেন। আমি এমন অভিযোগে দোষী না।
তদন্ত কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, অভিযোগ কারী অভিভাবক ও ছাত্রীদের সাথে শোনাবোঝা ও অভিযুক্ত শিক্ষক গওছুল কবীরকে জিঙ্গাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে তদন্ত রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)