এবার আল-আকসা মসজিদের ইমামকে হত্যার হুমকি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত ঐতিহাসিক আল-আকসা মসজিদের ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলের কট্টরপন্থী একটি গোষ্ঠী। এছাড়া তারা আরো কয়েকজন ফিলিস্তিনির নাম দিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামের নিজস্ব চ্যানেলে।
সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কট্টরপন্থি ওই গোষ্ঠীটির টেলিগ্রাম চ্যানেলের নাম ‘নাৎসি হান্টার- ২০২৩’। চ্যানেলটিতে নাম প্রকাশের পাশাপাশি আল-আকসা মসজিদের ইমাম শায়েখ ইকরিমা সাবরিসহ অন্যান্য ফিলিস্তিনিদের ছবি ও ঠিকানা প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ছবিগুলোর ওপর ‘ক্রস’ চিহ্নও এঁকে দিয়েছে তারা।
ছবিগুলো প্রকাশ করে ক্যাপশনে ‘নাৎসি হান্টার-২০২৩’ চ্যানেলটিতে লেখা হয়েছে, ‘এরা হলো সেই নাৎসি, যারা এখনো মুক্ত-স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এখনো তাদের হত্যা করা হয়নি।’
ইমাম ইকরিমা সাবরির আইনি পরামর্শক দলের প্রধান খালেদ জাবারক্বা জানান, সাবরি তার বিরুদ্ধে জারি করা হুমকি সম্পর্কে সচেতন।
সাবরি বলেছেন, ‘এই হুমকি ইসরাইল সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎসের নির্দেশে চরমপন্থি ইহুদি গোষ্ঠীগুলো দিয়েছে।’
জাবারক্বা আরো জানান, জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর তত্ত্বাবধায়ক: জেরুজালেমের জর্ডান কনস্যুলেট ও অন্যান্য আরব দেশগুলোর কনস্যুলেটকে পরিস্থিতির তীব্রতা সম্পর্কে অবহিত করেছেন সাবরি।
সাবরির আইনি পরামর্শক দলের প্রধান আরো বলেন, ‘এই উসকানি খুবই স্বচ্ছ এবং স্পষ্ট। বিগত এক বছর ধরেই সাবরি ক্রমাগত এসব উসকানির মুখোমুখি হচ্ছেন। অনেক চরমপন্থি ইহুদি গোষ্ঠী তাকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছে একাধিকবার।’
ওই গোষ্ঠীটির তালিকায় থাকা অন্যান্যরা হলেন- ফিলিস্তিনের একাধিক ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, ছাত্র অধিকার আন্দোলনের নেতা এবং হামাসসহ অন্যান্য ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর নেতারা। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে সাবরি ছাড়া অন্য কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর ৯ অক্টোবর ‘নাৎসি হান্টার-২০২৩’ নামে ওই চ্যানেলটি খোলা হয়। চ্যানেলটিতে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।