চলতি বছর মোবাইল ফোন বিক্রি কমেছে ৩৭ শতাংশ
ডেস্ক নিউজ:
মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে মোবাইল ফোনের বাজারে। এতে বিক্রি কমে বাড়ছে মেরামত। ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দাম বাড়ায় গত বছরের নয় মাসের তুলনায় চলতি বছর বিক্রি কমেছে ৩৭ শতাংশ। এ ছাড়া অবৈধ পথে মোবাইল ফোন আসা বন্ধে জোর দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সরেজমিনে মোবাইল ফোন মেরামতের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, গত বছর একটি ফিচার মোবাইল ফোন কিনেছিলেন উত্তরার দিবাকর বিশ্বাস। সেটি নষ্ট হওয়ায় এসেছেন মেরামত করতে। তিনি জানান, যে ফোনটি তিনি কিনেছিলেন ১৯শ টাকা দিয়ে সেটির দাম এখন তিন হাজার টাকা। তাই মেরামত না করে নতুন ফোন কেনা তাঁর জন্য কষ্টসাধ্য বলে জানান তিনি।
গুলশানের রাব্বিও এসেছেন একই কারণে। তাঁর স্মার্টফোনটি কেনা হয়েছে তিন বছর আগে। মোবাইল ফোনের দাম বেড়ে যাওয়ায় পুরনো ফোন মেরামত করেই চলতে হচ্ছে তাঁকে।
এ প্রসঙ্গে দোকানিরা বলছেন, গত কয়েক মাসে মোবাইল ফোন মেরামতের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে।
এ অবস্থায় মোবাইল ফোন ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ডলারের দামের পাশাপাশি ভ্যাট বাড়ায় বেড়েছে মোবাইল ফোনের দাম। এতে বিক্রি কমায় কমেছে উৎপাদনও। মোবাইল ফোন ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই নয় মাসে হ্যান্ডসেট উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ৯৪ লাখের বেশি। আর চলতি বছর একই সময় তা কমে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৬৯ লাখে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) সহ সভাপতি রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘দেশে মোবাইল ফোনের যে ডিমান্ড রয়েছে পর্যাপ্ত কাঁচামালের ঘাটতির কারণে তা উৎপাদন করা যাচ্ছে না। কারণ আমরা এলসি খুলতে পারছি না।’
এদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে মোবাইল ফোনের দাম ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ টি আই এম নুরুল কবির।
তবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছেন, অবৈধ পথে মোবাইল ফোন আসায় মিলছে না রাজস্ব। এ জন্য উৎপাদন পর্যায়ে বাড়াতে হয়েছে ভ্যাট। দাম কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের চাহিদা আড়াই কোটির বেশি। এর ৯৮ শতাংশেরই উৎপাদন দেশের কারখানাগুলোতে।