হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজায় যাতে কোন অঘটন না ঘটে সেজন্য সভা অনুষ্ঠিত
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মঈনুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাতক্ষীরার উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারে মীর আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, বাংাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ কুমার সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি অ্যাড. সোমনাথ ব্যাণার্জী, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী প্রমুখ।
এবার জেলায় পারিবারিক ও বারোয়ারি মিলিয়ে ৬০৫টি পুজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়। দুর্গাপুজা যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য আনছার, পুলিশসহ ত্রিস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্তা রাখা হবে। প্রতিটি মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপগুলোতে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেক করে দর্শণার্থীদের মন্ডপে ঢোকানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ডপে মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক রাখার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষ জানান, আগামি ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে মা দুর্গার মর্তে আগমন ঘটবে। ২০ অক্টোবর মহাষ্ঠষী ও ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে পাঁচদিনব্যাপি শারদীয়া দুর্গাপুজার সমাপ্তি ঘটবে। এবার মা আসবেন ঘটকে , যাবেন ও ঘটকে। দুর্গাপুজা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য সবধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে দেরীতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কয়েকটি মন্ডপের দর্শণার্থীদের প্রতিমা দর্শণে কিছুটা সমস্যা হবে বলে জানান সুভাষ চন্দ্র ঘোষ।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, পূজায় যাতে কোন অঘটন না ঘটে সেজন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে ফেইসবুকে যে কোন স্টাটাস দেখে বিচলিত না হওয়ার জন্য সতর্ক করেন তিনি।