পাবনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১১
ডেস্ক নিউজ:
পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা শহরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একপক্ষের ওপর আরেক পক্ষ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে শহরের মাসুম বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- রাফি, আরাফাত, মিলন, রিহাব, আকাশ, সজিব, শান্ত, রঞ্জু, তানজীদ। এরা সবাই মেহেদী হাসানের সমর্থক, ছাত্রলীগের কর্মী। আহতদের মধ্যে সজিব গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। অন্যদিকে রঞ্জু ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। বাকিরা সবাই গুলিবিদ্ধ। এ ঘটনায় এখনও দুজনের নাম জানা যায়নি।
আহত নেতাকর্মী ও পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পাবনা মহিলা কলেজের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল।
শনিবার রাত ১০টার দিকে মেহেদী হাসান তাঁর সমর্থকদের নিয়ে বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, এ সময় মাসুম বাজারে পৌঁছালে তাঁদের ওপর গুলি চালানো শুরু করে সিফাত ও তাঁর সমর্থকেরা। এতে ৮ জন গুলিবিদ্ধ ও তিনজন ছুরিকাঘাতে আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আহত সজিব নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
মেহেদী হাসান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের এবং ইফতে আরাফাত সিফাত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাফিউল ইসলাম সীমান্তের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
হামলার ঘটনায় নিয়ে কথা হয় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সিফাতের লোকজন মেহেদীর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা চলছিল। আমরা বারবার গিয়ে সমাধান করলেও কয়েক দিন পর আবারও তারা ঝামেলায় জড়িয়েছে।’
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, ‘শনিবার রাত ১০টা থেকে সোয়া ১০টার দিকে পার্টি অফিসে যাওয়ার সময় সিফাত তার লোকজন নিয়ে আমাদের মোটরসাইকেল বহরের ওপর গুলি চালায়। এতে আমার পক্ষের লোকজন গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। সিফাতের এত অস্ত্র আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের উৎস কোথায় তা খতিয়ে দেখে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
অন্যদিকে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত সিফাত বলেন, ‘আমি আমার অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলাম। এসময় হঠাৎ ২০-৩০ জন লোক নিয়ে মেহেদী আমার ওপর হামলা করে গুলি করে। এতে আমি কোনো মতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।’
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, এ ঘটটার পর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।