তালায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মারামারি, আহত ১

তালা প্রতিনিধি:

তালায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত হয়ে আজিবার ফকির তালা হাসপাতালের চিকিৎসাধীর রয়েছে। এঘটনায় তালা থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, আমি আজিবার ফকির (৪৫), পেশা-কৃষি, পিতা- মৃত শওকত আলী ফকির, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- , সাং- জেঠুয়া, থানা-তালা, জেলা- সাতক্ষীরা। থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে এজাহার করিতেছি যে, আসামী ১। শরফুল ফকির (৫০), ২। মিজবর ফকির (৪০). উভয় পিতা- মৃত শওকত ফকির, ৩। বাবু মোড়ল(২২), পিতা- জলিল মোড়ল, ৪। তহমিনা বেগম (৪৫), স্বামী- শরফুল ফকির, সর্ব সাং- জেঠুয়া, থানা- তালা, জেলা- সাতক্ষীরা অর্থ্যাৎ ০২নং আসামীর কন্যা কিয়া খাতুন (১৪) এর সহিত আমার পুত্র রাসেল ফকির (২২) কে জোরপূর্বক বিবাহ দেওয়ার বিষয় নিয়া বিরোধ রহিয়াছে । উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামীরা আমাকে সহ আমার পুত্র রাসেল ফকিরকে সর্বশান্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে। উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানায় যে আসামীরা মিথ্যা মামলা করিয়া আমাদের হয়রানি করিবে বলিয়া মামলা করে।

উক্ত ঘটনার জের ধরিয়া সকল আসামীরা গত ইং- ৩০/০৯/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৬.০০ ঘটিকার সময় গায়ের জোরে বেআইনীভাবে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, লোহার হাতুড়ি লইয়া আমার বসত বাড়িতে প্রবেশ করিয়া আমাকে ও আমার পুত্রকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে শুরু করে। ঐ সময় আমরা আসামীদের নিকট গালিগালাজ করার কারণ জিজ্ঞাসা করার সাথে সাথে সকল বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, লোহার রড, লোহার হাতুড়ি দ্বারা আমাদের মাথাসহ সমস্ত শরীরে পিটাইয়া ফোলাবেদনাদায়ক জখম করে। পরে ০৩নং আসামীর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা আমার পুত্রের সমস্ত শরীরে পিটাইয়া ফোলাবেদনাদায়ক জখম করে। পরে ০১নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা আমাকে জীবনের তরে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বাড়ি মারে। উক্ত বাড়ি আমার মাথার বামপার্শ্বে উপরিভাগে লাগিয়া মাথা ও মাথার হাড় কাটিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে ০২নং আসামী আমার তলপেটে লাথি মারিয়া মাটিতে ফেলিয়া দিয়া আমার গলার উপর পা চাপাইয়া দিয়া শ্বাসরুদ্ধ করিয়া মারিয়া ফেলার চেষ্টা করে। ঐ সময় আমার পুত্রের ডাকচিৎকারে স্বাক্ষী-১। ফারুক ফকির(৩৮), ২। আয়ুব আলী ফকির(৫০), উভয় পিতা- মৃত শওকত আলী ফকির, ৩। জাহিদা বেগম (৪০). স্বামী- আজিবার ফকির, সর্ব সাং- জেঠুয়া, থানা-তালা, জেলা-সাক্ষীরা আরও অনেকে ঘটনাস্থলে আসিয়া আসামীদের হাত হইতে আমাকে উদ্ধার করার সাথে সাথে সকল আসামীরা পরবর্তীতে আমাকে খুন জখম করার ভয়ভীতি দেখাইয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। পরে আমার অবস্থা খারাপ থাকায় আমি আমার পুত্রের মারফত অজ্ঞাতনামা পথচারী ভ্যানযোগে তালা সরকারি হাসপাতালে আসিয়া চিকিৎসার জন্য জরুরী বিভাগে ভর্তি হইয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এবিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)