১৫ লাখেও দল পাননি আশরাফুল-সাব্বির
স্পোর্টস ডেস্ক:
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ডাক পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। তবে নিউজিল্যান্ড থেকে আর অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হয়নি। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষেই তাঁকে দেশে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ দল। এর পর বিপিএলেও ফর্ম খুঁজে পাননি।
এবারের বিপিএলে দলই পেলেন না সাব্বির। আজ হওয়া বিপিএলের ড্রাফটে ই-ক্যাটাগরিতে ছিলেন সাব্বির। এই ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের মূল্য ১৫ লাখ টাকা। সাব্বিরের জন্য ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে রাজি হয়নি সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউ। একই ক্যাটাগরিতে ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। তাঁকেও নেয়নি কেউ।
গত বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে ৫ ম্যাচে মাঠে নামতে পেরেছিলেন। ৫ ম্যাচে মাত্র ৩০ রান তাঁর। গড় ৭.৫০, স্ট্রাইকরেটও মাত্র ৮৫.৭১। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য ফর্মে ফেরার চেষ্টা করেছেন। লিজেন্ড অব রুপগঞ্জের হয়ে ১৪ ইনিংসে ৪২.২৩ গড়ে ৫৪৯ রান করেছেন, যদিও তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ৮০ এর নিচে।
বিপিএলে তাই তাঁকে নেয়নি কেউ। তবে রুপগঞ্জেরই সর্বোচ্চ স্কোরার ইরফান শুক্কুরকে দুর্দান্ত ঢাকা প্রথমেই ডেকে নিয়েছে। মজার ব্যাপার, রুপগঞ্জের হয়ে মাত্র ৫ ম্যাচ খেলা জাওয়াদ রয়েনকেও নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। অথচ ডিপিএলে ৩ ইনিংসে মাত্র ৭৪ রান তাঁর, উইকেটও পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৩টি।
মোহাম্মদ আশরাফুল অবশ্য গত বিপিএলেও জায়গা পাননি। ডিপিএলের পরই অবসরের ঘোষণা দিলেও ড্রাফটে নাম ছিল আশরাফুলের। তবে তিনিও ডাক পাননি।
বিপিএলের এমন আরও পরিচিত মুখ এবার ডাক পাননি কোনো দলে। প্রায় প্রতিটি বিপিএলেই থাকা অলক কাপালি, ফরহাদ রেজা, সোহাগ গাজী এবার ডাক পাননি কোথাও। ডি ঙ্ক্যাটাগরিতে তাঁদের মূল্য নির্ধারিত হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। ডি ক্যাটাগরিতেই থাকা জাতীয় দল থেকে ব্রাত্য আবু জায়েদ, শফিউল ইসলাম ও সাদমান ইসলামও ছিলেন ডি ক্যাটাগরিতে। তাঁরাও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির নজর কাড়তে পারেননি।