কলারোয়ার ছলিমপুর এ.কে.খান মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত শুরু
জুলফিকার আলী:
কলারোয়ার ছলিমপুর এ.কে.খান মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার (২৫সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাজান কবীর সরেজমিনে তদন্তে আসেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে জেলা শিক্ষা অফিসার সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে বলেন-প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন গত ১৭সেপ্টের ২৩তারিখে খুলনায় উপ-পরিচালকের দপ্তরে দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি এ প্রতিষ্ঠানে তদন্তে আসেন। তিনি বলেন প্রতিষ্ঠানে সাবেক প্রধান শিক্ষক গত ৯জানুয়ারী-২০২২তারিখে তাহার চাকুরির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। কিন্ত তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল কাগজপত্র বুঝিয়ে না দেওয়ার কারনে সহকারী প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন। প্রতিষ্ঠানে তদন্ত করে দেখা গেছে-অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহেল আলীম বাবু প্রতিষ্ঠানের সকল কাগজ পত্র তার কাছে রেখেছেন যেমন-রেজুলেশান খাতা, জমির কাগজপত্র, বেতন উত্তেলনের কপি, দুইটি কম্পিউটার, ক্যাশ বই, প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় পাসওয়ার্ড, নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল, মন্ত্রনালয়ের অডিট রিপোর্ট ফাইল সহ নানা ফাইল পত্র তার কাছে জমা আছে। আগামী রবিবারের মধ্যে সকল কাগজ পত্র বুঝিয়ে দেয়ার জন্য সময় দেয়া হয়েছে। এদিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি(এডহক) নিয়ে অভিযোগ তুললেন অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য শহিদুল ইসলাম ও টিআর সদস্য অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহানা আখতার। তারা বলেন-কিভাবে যে ছলিমপুর এ.কে. খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (এডহক) কমিটি গঠন করা হয়েছে তা তারা জানেন না। তাদের স্বাক্ষরও জাল করা হয়েছে।
তারা আরো বলেন-বর্তমান ম্যানেজিং (এডহক) কমিটি কোন কারন ছাড়াই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন এর অর্ধ বেতন কর্তন সহ সাময়িক বরখাস্ত করে অবৈধ ভাবে হারান চন্দ্র রাহাকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব ভার দেয়া হয়। সেখানে কোন রেজুলেশানে স্বাক্ষরও করা হয় নাই। কোন বুনিয়াদে এ সমস্ত কাজ করা হয়েছে তাহার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত ভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তদন্তকালে কলারোয়া উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার হারুন-অর-রশিদ বাদী, বিবাদী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।