সরকার যখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কঠোর অবস্থানে তখনই শ্যামনগর সরকারি অফিসেই বিদ্যুৎ অপচয়
শ্যামনগর প্রতিনিধি:
বিদ্যুৎ অপচয় রোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বদ্ধপরিকর, লোডশেডিং থেকে বেরিয়ে আসতে সরকারের মহা-পরিকল্পনা, ঠিক তখনই সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর সরকারি অফিসেই মিললো এর ভিন্ন চিত্র। খোদ উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসেই চলছে বিদ্যুতের অবাধ অপচয়।
সরেজমিনে ঘুরে গত বুধবার দুপুরে দেখা যায়, অফিস কক্ষে কেউ না থাকলেও শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন এবং তার পাশের জনশূণ্য কক্ষে অনায়াসে ঘুরছে ৪টি ফ্যান। জনশূণ্য কক্ষে অহেতুক ফ্যান চালিয়ে রাখার ব্যাপারে জানতে উক্ত অফিসের হিসাব সহকারী মোঃ আব্দুল হামিদ এর কক্ষে গেলে তিনি রাগান্বিত অবস্থায় বলেন, এগুলো দেখার দ্বায়িত্ব কি আপনার? সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেনকে স্যার না বলে সাহেব সম্বোধন করায় তিনি মারমুখী হয়ে তেড়ে আসেন।
উপজেলার গোডাউন মোড় হতে নূরনগর বাজার পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা সংস্কার করা হয়। এক বছর হতে না হতেই রাস্তার বর্তমান অবস্থা বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ইতোমধ্যে খানা-খন্দক তৈরী হয়েছে সর্বত্র। অতি সম্প্রতি ঐ রাস্তার কিছু অংশ সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের কাজ শেষ হতে না হতেই দু-পাশে বেশ কিছু জায়গায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া নূরনগর বাজার অংশের কাছাকাছি দু-পাশে ঢালাইয়ের মধ্যবর্তী অংশের কার্পেটিং খুবই নিম্নমানের হয়েছে।
এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসে গেলে সাংবাদিককে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। সারাদেশে বিদ্যুতের অসহনীয় ঘাটতিতে যখন জনজীবন বিপদযস্ত, ঠিক তখনিই উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে বিদ্যুতের অপচয় এবং কর্তৃপক্ষের মারমুখী মনোভাব বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে। রাস্তা সংস্কারের কোন তথ্য না পেলেও সাংবাদিককে লাঞ্চিত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। সাংবাদিকেরে সাথে এমন অশোভন আচরণের দায় কে নেবে? রাস্তা সংস্কারের দেখভাল করার অর্থরিটি উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর। এক বছরেরও কম সময়ে কার্পেটিং রাস্তার বেহাল দশার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে কে?
এসময় শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ.কে.এম শহিদুল ইসলাম বলেন, অফিসে বিদ্যুতের অপচয় করা হচ্ছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়ে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে, এরপরও বিষয়টি ভুলবসত ঘটে গেছে। এ রকম যদি হয়ে থাকে বিষয়টি নিন্দনীয়। আমি বিষয়টি দেখছি।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেনকে মুঠো ফোনে তার অফিসে বিদ্যুতের ব্যবহার, রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান এবং অফিসে আমন্ত্রণ জানান।
সাতক্ষীরা জেলা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়ার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষকে আরও অনেক বেশি সচেতন হওয়া দরকার। স্যার বলতে হবে এমন নিয়ম-নীতি নেই চাইলে ভাইও বলা যেতে পারে। বিদুৎ অপচয় এর বিষয়ে আমি ক্ষতিয়ে দেখছি।