শ্যামনগরে কার্বন ফুট প্রিন্ট কমাতে যুবদের বিক্ষোভ
অনাথ মন্ডল:
“কার্বন ফুট প্রিন্ট কমাও, আমাদের বাঁচাও” এই স্লোগানে সামনে রেখে জলবায়ু সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিক্ষোভ করেছে যুব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও, সিওয়াইএন এবং এসএসটি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিকের সহযোগিতায় ২৩ শে সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরে বিক্ষোভ করেন যুবরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বারসিকের প্রোগ্রাম অফিসার ও সিডিও প্রতিষ্ঠাতা গাজী আল ইমরান, প্রোগ্রাম অফিসার বিশ্বজিৎ মন্ডল, বর্ষা মন্ডল, সিডিও ইয়ুথ টিম আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান, আনিছুর রহমান মিলন,সিওয়াইএন এর সভাপতি রাইসুল, এসএসএসটির সদস্য সাইদুল ইসলাম ও সদস্য সাদি, বাদশাহ, রায়হান, তমা প্রমুখ।
যুবরা বলেন, বিশ্বনেতারা গ্লাসগোতে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। সম্মেলন চলাকালে আমাদের মতো আন্দোলনকর্মীরা দাবি জানিয়েছেন, কার্বন নিঃসরণ বিষয়ে সরকারগুলো যাতে নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করে এবং অক্রিয় অবস্থান থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের প্রকৃতিতে ঋতুবৈচিত্র্য লোপ পাচ্ছে। এক ঋতুর সঙ্গে আরেক ঋতুর পার্থক্য মুছে যাচ্ছে। আর্দ্রতা কমে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের মাত্রা বাড়ছে। এতে শহর ও গ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথভাবে জানিয়েছেন, ‘চরম তাপমাত্রার দ্রুত বৃদ্ধির তালিকায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে ভারতের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ।’ গবেষক দলের প্রধান টুহলস্কি বলেছেন, ‘চরম উষ্ণতার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মানুষের কর্মক্ষমতার ওপর। ফলে তাদের আয় কমে যাচ্ছে ও স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে’।
সবকিছুর পরেও বিশ্ব নেতারা আমাদের মতো গরীব রাষ্ট্রের কথা ভাবছে না। বরং আমরা যাতে নদীর বানে ডুবে মরি সেই ব্যবস্থা করছে তারা।এসময় যুবরা বিশ্ব নেতাদের ভৎসনা করে নিজেদের পায়ের প্রতীকী ছাপ ফেলানোর মাধ্যমে কার্বন ফুট প্রিন্ট কমানোর দাবী জানান।
Please follow and like us: