শুক্রাণু দিয়ে নগদ অর্থ পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে ক্রমেই কমছে জন্মহার। এ সমস্যা নিরসনে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে সবচেয়ে সেরা শুক্রাণু সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে একটি চীনা শুক্রাণু ব্যাংক।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, হেনান প্রদেশের হিউম্যান স্পার্ম ব্যাংকের লক্ষ্য হলো সর্বোচ্চ সংখ্যার এবং সবচেয়ে শক্তিশালী শুক্রাণুর সন্ধান করা।
জানা গেছে, ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা ৫০ দিন পর পর সর্বোচ্চ ২০ বার শুক্রাণু দিতে পারবেন। প্রত্যেকবার শুক্রানু দেওয়ার জন্য এক শিক্ষার্থী ৬ হাজার ১০০ ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯১ হাজার ৬২৫ টাকা) পাবেন। তবে শুক্রাণু দিতে এক শিক্ষার্থীর ৫ ফিট ৪ ইঞ্চির বেশি উচ্চতা থাকতে হবে। সেইসঙ্গে ধূমপায়ী, মাদকাসক্ত ও সমকামি হওয়া যাবে না। শুক্রাণুর নমুনাগুলো কমপক্ষে চারটি মানদণ্ডে মূল্যায়ন করা হবে- ঘনত্ব, আয়তন, গঠন এবং গতিশীলতা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর হিউম্যান স্পার্ম ব্যাংক শুক্রাণু সংগ্রহের এ আয়োজনের কথা জানান। সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে দেওয়া একটি পোস্টে জানায়, রক্তদানের মতো শুক্রাণু দেওয়াও একটি মানবিক কর্মকাণ্ড। এটি কিছু মানুষের জীবনে সুসংবাদ নিয়ে আসতে পারে।
চীনে জনসংখ্যার হার এমনভাবে হ্রাস পেয়েছে যে, কিছু দিন আগেই সে দেশের ‘দুই সন্তান নীতি’ আইন তুলে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমেছে ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো। বিষয়টিকে একটি দীর্ঘ সময় ধরে দেশটির নাগরিকের সংখ্যা কমতে থাকার ঐতিহাসিক সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এর মধ্যদিয়ে ১৯৬১ সালের পর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটে চীনে। ওই বছরটি ছিল দেশটির মহা দুর্ভিক্ষের শেষ বছর।
গত ১৭ জানুয়ারি চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কমে ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজারে পৌঁছেছে।