বাংলাদেশকে ২৫৫ রানের টার্গেট দিল নিউজিল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক:
ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে আগে ব্যাট করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারী কিউইরা।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। এতে টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৫৫ রান।
এদিন নিউজিল্যান্ডের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন উইল ইয়ং এবং ফিন অ্যালেন। ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা দু’জন।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটের স্বাদ দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে লিটনের তালুবন্দী করে উইল ইয়ংকে সাজঘরে ফেরান ফিজ। আউট হওয়ার আগে ৮ বলে শূন্য রান করেন আগের ম্যাচে অর্ধ শতক পাওয়া ইয়ং।
উইলের বিদায়ে উইকেটে আসেন চাঁদ বোয়েস। এর পরেই কিউই শিবিরে ফের আঘাত হানেন ফিজ। এবার তার শিকার ফিন অ্যালেন (১২)। এরপর বাইশ গজে আসেন টম ব্লান্ডেল। তাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হেনরি নিকোলস। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৯৫ রান। পরে ওডিআই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন ব্লান্ডেল।
ম্যাচের ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠা নিকোলসকে ফেরান খালেদ। সাজঘরে ফেরার আগে ৬১ বলে ৪৯ রান করেন নিকোলস।
পরে ক্রিজে আসেন রাচীন রবীন্দ্র। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই মাহেদীর ঘূর্ণিতে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন তিনি। এতে দুই বান্ডারিতে ১০ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এ কিউই অলরাউন্ডার।
রবীন্দ্রর বিদায়ে বাইশ গজে আসেন কোল ম্যাকোঞ্জি। এরপরই টম ব্লান্ডেলের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন হাসান মাহমুদ। বোল্ড হওয়ার আগে ক্যারিয়ার সেরা ৬৮ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে সফরকারীরা।
এরপর দলের হাল ধরতে উইকেটে আসেন ইশ শোধি। তাকে সঙ্গ দিয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন ম্যাককোঞ্চি। ম্যাচের ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে নাসুমের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হন তিনি। পরে আম্পারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। কিন্তু তাতেও সুফল পাননি, এতে ২০ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর উইকেটে আসেন কাইল জেমিনসন। দায়িত্ব নিয়ে দলীয় ইনিংস লম্বা করতে থাকেন তিনি। কিন্তু ম্যাচের ৪৫তম ওভারে শেখ মাহেদীর ঘূর্ণিতে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কাইল (২০)। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে শোধির ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ২৫৪ রানে থামে সফরকারীরা।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন শেখ মাহেদী।