সাতক্ষীরায় জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে নারী সমাবেশে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
‘এলএনজি ভিত্তিক টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করো। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়ন করো’ এই দাবিতে সাতক্ষীরায় জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গায় জ¦ালানি সপ্তাহ উপলক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশ, ক্লিন, বিডব্লিউজিইডি আয়োজিত এই নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে নারীনেত্রী শাহানারা খাতুনে সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক শারমিন আক্তার, গৃহবধূ আনোয়ারা খাতুন, কলেজ শিক্ষার্থী শরিফুননেছা, খাদিজা খাতুন, রেহেনা পারভিন, ময়না খাতুন, গৃহবধূ নাছিমা খাতুন, আয়মন বিবি, মনোয়রা পারভিন, স্কুলছাত্রী তাহেরা পারভিন, আশেয়া সিদ্দিকা প্রমুখ। এছাড়া সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকারীকর্মী ও স্বদেশ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, উন্নয়ন গবেষক আসিফ ইকবাল, যুবনেতা আজহারুল ইসলাম, জয় সরদার, দেবজ্যোতি ঘোষ নয়ন, এনজিওকর্র্মী তাহমিনা খাতুন পুতুল।
জ¦ালানি অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে নারী সমাবেশে অশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রকাচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক কটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক। ব্যাংকটি বেইজিং ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থা। যার লক্ষ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকে সম্মিলি ভাবে উন্নত করা। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়। এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রথম তিন বছরের মধ্যে যত অর্থ বিনিয়োগ করেছে তার মধ্যে ২০ শতাংশ বিনিয়োগই জীবাশ্ম (বিশেষ করে কয়লা এবং এলএনজি) জ্বালানি প্রকল্পে।
সামেবেশ নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দ্রুতগতিতে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য এই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারই অন্যতম দায়ি। ২০১৭ সাল থেকে আমাদেও দেশে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। ২০২২ পর্যন্ত ৫১০ মিলিয়ন ডলার শুধুমাত্র জ্বালানি খাতেই বিনিয়োগ করেছে। এরা শুধু বিনিয়োগ করে না, আমাদেরকে পারামর্শও দিয়ে থাকে। এই পরামর্শ আবার তাদের লাভের স্বার্থেই দেয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে দুটি প্রকল্পে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড-সাইকেল গ্যাস টারবাইন এবং বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সংস্কার ও সম্প্রসারণের জন্য ১৬৫ মিলিয়ন ঋণ অনুমোদন করে। যার একটি উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাস বিদুুৎ উৎপাদন কেন্দ্রর ক্ষমতার সম্প্রসারণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে দূষণকারী এবং ব্যয়বহুল উৎসের ব্যবহার হ্রাস করার একটি প্রকল্প। এছাড়াও আমাদের দেশ বিভিন্ন বিদুুৎ প্রকল্পের নামে বিনিযোগ অব্যাহত রেখেছে। এআইআইবি’র জ্বালানি খাতে (গ্যাস ও কয়লা) এই বিনিয়োগের ফলে আমাদের দেশ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত নানামুখি সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। আমাদের দাবিÑবাংলাদেশে ‘এলএনজি ভিত্তিক টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করতে হবে এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুসারে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।