সাতক্ষীরায় পানের বরজে শিয়াল মারা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে চোরের মৃত্যু
রঘুনাথ খাঁ:
শিয়াল প্রতিরোধে পানের বরজে টানিয়ে রাখা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে এক চোরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর একটার দিকে পুলিশ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইন্দিরা গ্রামের সরকারপাড়ার নিমাই পদ দাসের পানের বরজের পাশ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
মৃতের নাম- মীর গোলাম মোস্তফা (৪৭)। তিনি সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ি কারিকরপাড়ার মীর মোসলেম আলীর ছেলে।
ইন্দিরা সরকারপাড়ার নিমাই পদ দাস জানান, তার বরজে প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ও বুধবার পান ভাঙা হয়। মঙ্গলবার পান ভাঙার জন্য তিনি সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি পানের বরজে শিয়াল প্রতিরোধে বৈদ্যুতিক তারে বাল্ব ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। রবিবার রাত ১০টার দিকে তিনি বরজে পাহারা দিতে যেয়ে এক ব্যক্তিকে তার বরজের পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজনদের জানান। সোমবার দুপুরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ মৃতের পরিচয় জানতে পারে।
স্থানীয়রা জানান,মৃত মীর গোলাম মোস্তফার গালে একটি গ্যাস লাইটার, হাতে দুটি নাইলনের ব্যাগ ও তিনটি পলিথিনের বস্তা ছিল। ঘাড়ের ডানদিকে ফোস্কা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে পান চুরি করতে এসে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে গোলাম মোস্তফার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র বরজে নিয়মিত পান চুরি করায় হারু দাস তার তিনটি পানের বরজ বন্ধ করে দিয়েছে। একইভাবে নিমাই পদ দাসের বরজে নিয়মিত চুরি হতো। যে কারণে তারা চুরি প্রতিরোধে বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে বাল্ব জালাতেন।
আগরদাড়ি কারিকরপাড়ার মীর আব্দুল কাদের জানান, তার ভাই গোলাম মোস্তফা অন্যের জমি লীজ নিয়ে চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা চালাতেন। তার ছেলে মুজাহিদ স্থানীয় একটি কলেজে পড়ে। মেয়ে বীথিকে বিয়ে দিয়েছে। এলাকায় কাজ না থাকায় কয়েক মাস যাবৎ সে শহরে বসবাস করে। সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে তিনি লাশ দেখেতে আসেন। তার ভাইয়ের মৃত্যু স্বাভাব্কি নয় বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম জানান, প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পানের বরজে শিয়াল মারার জন্য টানিয়ে রাখা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে গোলাম মোস্তফার মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।