পাইকগাছা বেকারী শিল্প মালিকগনের মাঝে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারনে ব্যবসা পরিচালনায় চরম হতাশ
পাইকগাছা প্রতিনিধি:
দেশের বেকারী কারখানায় খাদ্যপন্য উৎপাদনে সবচেয়ে বড় অন্তরায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি। পাইকগাছা উপজেলায় বেকারী শিল্প মালিকগনের মাঝে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারনে ব্যবসা পরিচালনায় চরম হতাশ ও লগ্নির ভবিষ্যৎ অনিশ্চত। অর্থনৈতিক মন্দার কারনে বেকারী কারখানা গুলি বন্দ্ব হওয়ার উপক্রম হতে বসেছ প্রাপ্ত তথ্য ও সূত্র থেকে জানা যায় যে,পাইকগাছা উপজেলায় সর্বমোট দশটি বেকারী কারখানা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ও বিভিন্ন ইউনিয়নে রকমারী খাদ্যপন্য উৎপাদন করে তারাউপজেলা বাসীর চাহিদা পূরন করে আসছিলো।কিন্তু বেকারী কারখানায় প্রয়োজনীয় খাদ্যপন্য উৎপাদনে যে সকল দ্রব্যসমূহ যেমন,ময়দা,আটা,চিনি,সোয়াবিন তৈল, ডালডা, ও অন্যান্য উপকরন সমূহের মূল্য প্রায় তিন বছরের অধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসা পরিচালনায় লোকসান জেনেও এ ব্যবসার সংকট উত্তরনে ও কারখানার লগ্নি বাঁচানোর জন্য দিনের পর দিন ভর্তুকি দিয়ে আসছে ভবিষ্যতের সূদিনের আশায়।সেলসম্যানদের প্রতিদিন মোটা বেতন ও কমিশন দিয়ে পন্য বিক্রি করার কারনে বেকারী মালিকগনের বড় ধরনের লোকসান ও ক্ষতি হচ্ছে।একাধারে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি অন্যদিকে কারিগর,সেলসম্যান,পরিবহন খরজ, প্যাকেটজাত ইত্যাদি ব্যায়ভার বহন করে লাভের খাতা শূন্য। ফলে সূদিন ফিরে আসার অপেক্ষার প্রহর গোনা। কিন্তু বিধি বাম,দ্রব্যমূল্যের দাম তো কমেনি বরং উত্তরোত্বর বেড়েই চলেছে।ফলে ব্যবসায়ীগন ব্যাবসা টিকে থাকতে গিয়ে ঋন গ্রস্হ হয়ে পড়েছেন।অথচ পন্যের মূল্য বৃদ্বি করতে চাইলে জনসাধারন কিনতে চায়না।এ ছাড়া প্রতিদিন একই রকম ভাবে পন্য বিক্রি হয়না।ফলে খুচরা ব্যবসায়ীগন পরের দিন আগত বেকারীর সেলসম্যানের কাছে অব্যবহৃত পন্য ফেরত প্রদান করে নতূন পন্য নিয়ে নেয়। যার ফলে প্রতিদিন সেলসম্যান এর মাধ্যমে সংগৃহীত পন্যের একটি বিরাট অংশ কারখানায় ফেরত আসে যার ফলে প্রতিদিন বেকারী মালিকগনের অর্থনৈতিক লোকসান হয়। এ ছাড়া বেকারী কারিগর সংকটের কারনে জোটভূক্ত কারিগরগন ইচ্ছেমত মূজুরীর দাম ধ্যার্য করার ফলে তাদের বেধে দেওয়া মূজুরীতে নিয়াগ নিতে হবে নতুবা তারা কাজ ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।ফলে মালিকপক্ষ দের চরম অনিশ্চয়তার মাধ্যমে দিন কাটাতে হয়।এবং তাদের অযৌক্তিক দাবী মেনে নিয়ে কারখানা চালাতে হয়।এক সমীক্ষা য় দেখা যায় যে ময়দাতে প্রায় বস্তায় ২৫০০/টাকা,চিনি বস্তাতে প্রায় ৩০০০/টাকা,আটা বস্হাতে প্রায় ২০০০-২২০০/টাকা দাম বৃদ্ধি , এছাড়া সোয়াবিন তৈল ব্যারেল প্রতি প্রায় দিগুন হয়েছিল,৫/৬ মাস দাম স্হিতি থাকাবস্হায বর্তমানে পূর্বমূল্য খেকে ব্যারেল প্রতি ৬/৭ হাজার টাকা দাম বৃদ্ধি রয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য উপকরনে প্রায় পূর্ব মূল্য থেকে শতকরা৩০-৩৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান পরিস্হিতি তে বেকারী ব্যবসা পরিচালনা করতে বিভিন্ন এন জি ও,ব্যাংক এর থেকে নেওয়া লগ্নি সময় মত ব্যাংকে পরিশোধ করতে না পারার কারনে কতৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্হা নেওয়ার হুমকি দিয়ে চিটি পাঠিয়েছেন।ফলে অশু সংকট থেকে বাঁচার জন্য বেকারী মালিকগন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।এ ব্যাবসা সচল রাখতে সরকার দ্রব্য মূল্যের দাম না কমালে তাদের বিপুল পরিমান লোকসানের বোঝা নিয়ে পথে বসতে হবে।অথবা বেকারী ব্যাবসা ছেড়ে অন্যকোন ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়া ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ব্যাবসায়ীগন দ্রব্য মূল্যের দাম কমাতে সরকারের যথাযত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।