উপকূলীয় সাঁতার না জানা শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যু থেকে বাঁচাতে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ
অনাথ মন্ডল:
“এক মিনিটের ভুল সারাজীবনের কান্না “এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদরের যাদবপুর গ্রামের তরুন যুবক শেখ কামরুজ্জামান এর পরিকল্পনায় প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও সাঁতার না জানা শিশুদের সচেতন মূলক ক্যাম্পেইন ও পানিতে ডুবে অপমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেন।
১৭ই সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের শেখ হোসেন আলীর পুত্র শেখ কামরুজ্জামান (২৯) নিজ উদ্যোগে যাদবপুর গ্রামের বড় পুকুরে, গ্রামের ৪বছর থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে সাঁতার প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করেন। প্রশিক্ষণে কামরুজ্জামান কে আরও সাহায্য করেন ইসরাফিল, ইমন ও মোস্তফা ।
কামরুজ্জামান নিজে দায়িত্ব নিয়ে শিশুদের বাবা মায়ের কাছ থেকে তাদেরকে সন্তানদের নিয়ে এসে সাঁতার শিক্ষিয়ে আবার তাদের বাবা মায়ের কাছে দিয়ে আসেন। এছাড়াও তার এমন উদ্যোগ দেখে এলাকার ছোট ছোট শিশুদের পিতামাতারা তাদের সন্তানদের সাঁতার শেখাতে নিয়ে আসেন।
কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় প্রতি বছর বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন লেগে থাকে, ফলে পুকুর নদী-নালা, খাল-বিল পানিতে থৈথৈ করে। সাঁতার না জানার জন্য পানিতে ডুবে প্রতি বছর আমাদের দেশে অনেক শিশুরা মারা যায়। এর ফলে দেখা যায় মা-বাবা তাদের আদরের শিশুটিকে হারিয়ে দিশে হারা হয়ে পড়ছে। অনেক বাবা মা পাগলও হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, গত দুইবছর আগে থেকে আমি এই প্রশিক্ষণ শুরু করেছি যা এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সোবান বলেন, আমি আমার মেয়ে কে সাঁতার শেখাই নি কিন্তু কামরুল তাকে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সে এখন সাঁতার কাটতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল আলম বলেন, কামরুজ্জামান প্রতি বছর বিভিন্ন গ্রামের শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দেন। এছাড়াও দেখেছি সে সেচ্ছায় বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকেন। মানুষ তার এই সব কাজের জন্য তাকে ভালোবাসেন।
এলাকা বাসীর চাওয়া মানুষের অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে ঘরে ঘরে এমন কামরুজ্জামানের জন্ম হওয়া উচিত, সবাই কামরুজ্জামানের সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
Please follow and like us: