তালায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর সর্বস্ব লুঠ
ফারুক সাগর:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী নুর আলী বিশ্বাসের (৬৮) বসতবাড়ি থেকে সর্বস্ব লুঠের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার(১৬সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে মাগুরা ইউনিয়নের বালিয়াদহ গ্রামে নিজ বসতবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। সে একই এলাকার মৃত:অহিদ আলী বিশ্বাসের ছেলে।
ভুক্তভোগীর সহদর ভাই আনার বিশ্বাস বলেন,ঘটনার রাতে বাড়িতে আমার ভাই ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম ছাড়া আর কেউ ছিল না। তার ছেলে শামীম বিশ্বাস এবং তার স্ত্রী রুনা আক্তার বাপের বাড়িতে বিকালে বেড়াতে গিয়ে ছিল। যাওয়ার পূর্বে শশুর শাশুড়ির জন্য গরুর মাংস রান্না করে যায়। দুর্বৃত্তরা কৌশলে রান্না করা খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঘরের ভিতর লুকিয়ে ছিলো। পরে সেই খাবার খেয়ে নুর আলী বিশ্বাস এবং তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম অচেতন হয়ে পড়ে। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা বসতবাড়ির তিনটি শোবার ঘর থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার সহ নগদ ১ লক্ষ৪০হাজার টাকা লুঠ করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন,আমার ভাবি নুরজাহান বেগম রাত দুইটার দিকে ধীরে ধীরে চেতনা ফিরে আসে। শোবার ঘরের আসবাবপত্র খোলা দেখে রাস্তার অপর দিকে বসবাসকারী আনিস বিশ্বাসকে ডাকে। পরবর্তীতে সে আমাকে সহ প্রতিবেশীদের খবর দেয়। সেই সময় আমি এসে দেখতে পাই ঘরের সব কিছু এলোমেলো এবং আমার ভাই নুর আলী বিশ্বাস তখনও অচেতন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে সে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,বসতবাড়ির পাশের হলুদ ক্ষেতে দুই থেকে তিন জন বসে অপেক্ষায় ছিল। সেই সাথে সুযোগ মত এক জন দুর্বৃত্ত ভিতরে ঢুকে খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে লুকিয়ে ছিল। বৃদ্ধ বৃদ্ধা অচেতন হলে সে ভিতর থেকে তালা খুলে বাইরে অপেক্ষায় থাকা বাকি সহকর্মীদের ভিতরে প্রবেশ করায়। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে দুর্বৃত্তকারীরা লুঠপাটের সাথে গ্যাসের চুলায় রান্না করে বনভোজনের মত খাওয়া দাওয়া করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন বলেন,এর পূর্বে আমার এলাকায় এধরনের রোমহর্ষক ডাকাতির ঘটনা ঘটে নাই।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ এবিষয় অভিযোগ করেন নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Please follow and like us: