তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহারে চার বিদেশি বিমান সংস্থা আগ্রহী

অনলাইন ডেস্ক:

উদ্বোধনের আগেই সম্ভাবনার জানান দিচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। এরই মধ্যে বিমান চলাচলে এ টার্মিনাল ব্যবহারের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন চেয়েছে কয়েকটি বিদেশি এয়ারলাইনস। এছাড়া আরও অনেক সংস্থা অপেক্ষমাণ বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
আগামী ৭ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল আংশিক উদ্বোধনের লক্ষ্য সিভিল এভিয়েশনের। ছবি: সময় সংবাদ

সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে সম্ভাবনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে শাহজালাল বিমানবন্দরের নবনির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল। আগের দুই টার্মিনালের চেয়ে দ্বিগুণ পরিসর, বর্ধিত পার্কিং সক্ষমতা, বিভিন্ন সেবার পদ্ধতি ও লজিস্টিকস সাপোর্টে অটোমেশন ব্যবস্থা আকৃষ্ট করছে বিদেশি অনেক এয়ারলাইনসকে।

 

  
এরই মধ্যে লিখিতভাবে চারটি বিদেশি সংস্থা বিমান পরিচালনায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ব্যবহারে আগ্রহ দেখিয়েছে। এগুলো হচ্ছে: দুবাইয়ের উইজ এয়ার, সৌদি আরবের ফ্লাইনাস, শ্রীলঙ্কার এফআইটিএস এয়ার এবং মালয়েশিয়ার মাই এরারলাইন।
এ বিষয়ে বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী জানান, এভিয়েশন শিল্পকে সময়োপযোগী করার প্রচেষ্টায় বিশ্ব দরবারে সমুজ্জ্বল হচ্ছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।
 
বিমানবন্দর ব্যবহারে আরও অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,  

আমাদের থার্ড টার্মিনালের প্রতি সারা বিশ্বের আগ্রহ রয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় প্রতিষ্ঠানই  এটি ব্যবহারে খুব আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানও আমাদের বিমানবন্দরে এবং কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা আসছেন ও যোগাযোগ রাখছেন

বছরে দুই কোটির বেশি যাত্রী পরিবহনের আশা সিভিল এভিয়েশনের। সেক্ষেত্রে বছরে বিমান বা ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ। তবে সম্ভাবনাময় এ বিমানবন্দরে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াতে সিঙ্গেল রানওয়ে বড় বাধা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

ভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন,

একটি বিমানবন্দরে যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, সেগুলো একটি থার্ড টার্মিনাল করেই কিন্তু নিশ্চিত করা যাবে না। সেটি নিশ্চিত করতে হলে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। তাছাড়া আমাদের ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি মাত্র রানওয়ে রয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ২৮টি বিমান সংস্থার ফ্লাইট কার্যক্রম রয়েছে। বিদেশি বিমানের সংখ্যা বাড়লে যাত্রী ভাড়াও কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)