ড. ইউনূসের অপরাধবোধ থাকার কারণটা দুঃখজনক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক:
মামলা বন্ধে সরকারের কোনো ক্ষমতা নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অপরাধবোধ থাকার কারণটা খুবই দুঃখজনক। তিনি যদি অপরাধ না করেন, তাহলে তো তার ভয়ের কোনো কারণ নেই।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেয়া প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন, তারা চাইলে বাংলাদেশে এসে আমাদের যে বিচার চলছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আগ্রহ দেখিয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে আব্দুল মোমেন বলেন,
খুবই দুঃখজনক যে ইউনূস আমাদের একজন সম্মানিত নাগরিক। তার বিরুদ্ধে সরকার কোনো মামলা করেনি। তার প্রতিষ্ঠান যাদের ঠকিয়েছে, তারাই মামলা করেছেন শ্রম আইনে।
‘আইনের শাসন মানতে হলে সরকারের কোনো ক্ষমতা নেই মামলা বন্ধ করার। তিনি অপরাধ না করলে তো তার ভয়ের কোনো কারণ নেই। বিচার তার পক্ষেই যেতে পারে। তার অপরাধবোধ থাকার কারণটা খুবই দুঃখজনক। এমন নামিদামি লোক তিনি সেই ভয়ে আতঙ্কিত। তিনি সৎ ও সাহসী হয়ে থাকলে তার মামলা মোকাবিলা করা উচিত। মামলায় যা হবে, সেটা তিনি গ্রহণ করবেন। এ দেশের নাগরিক হলে এ দেশের আইন-কানুনও মানতে হবে’, যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস একটি ফার্মকে নিয়োগ করেছেন, তার পক্ষে সই নিয়ে আসতে। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা চাইলে এসে মামলাটি লড়তে পারেন। যুক্তি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচার হবে। কাজেই এ নিয়ে ভয় পাওয়ার তো কারণ নেই। নিজে নিজে দোষী হলে একটু ভয় পাবেনই।’
যুদ্ধবন্ধের কথা প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেন। এবার তিনি জাতিসংঘের বক্তব্যে সেই আহ্বান জানাবেন কিনা-এমন পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও অভিবাসন নিয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন কিনা, এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন,
অভিবাসনে আমরা সভাপতি। আমরা দুনিয়াতে নিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন চাই। আমরা কোনো অবৈধ অভিবাসন চাই না। অভিবাসীরা স্থানীয়দের কর্মসংস্থান কেড়ে নেন না, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। আমেরিকান দেশটি পুরোটিই অভিবাসীদের দেশ। দুনিয়ার সবদেশের লোকজন গিয়ে ওই দেশটিকে উন্নত করেছেন। অভিবাসীরা খুবই উদ্ভাবনী ও সৃষ্টিশীল হন। তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। আমরা সবসময় এই বাণী দিয়ে এসেছি।
মোমেন আরও বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে দরিদ্র নারী ও শিশুদের ওপর বেশি অত্যাচার করা হয়। আমরা চাই, যুদ্ধ বন্ধ হোক, আমরা শান্তি চাই। সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাই। সব ফোরামে প্রধানমন্ত্রী এই বার্তা দিয়ে এসেছেন, জাতিসংঘেও এই বার্তা দেবেন। শান্তি-স্থিতিশীলতা উন্নয়নে সহায়ক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাজার হব। সেই কথাগুলো আমরা বলতে চাই বিশ্বকে। তারপর কে গ্রহণ করবে, না করবে, এটা তাদের বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় পণ্ডিতরা একবাক্যে বলেন, বাংলাদেশ ইজ রাইজিং স্টার, ইজ অ্যা রাইজিং টাইগার।’
Please follow and like us: