রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ-প্রত্যাশী বাপ্পী এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখা কমিটি গঠনের পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১১ নং রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নতুন কমিটি। সভাপতি পদকে ঘিরে যুব নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। পছন্দের নেতাকে সভাপতি নির্বাচিত করতে চান যুবলীগের কর্মিরা । যে কোন সময় এ সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী কালিগঞ্জ উপজেলা শাখা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নেতৃবৃন্দ জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করায় পদ-প্রত্যাশীরা তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছে। এ নিয়ে কর্মী সমর্থকরা খুবই উজ্জীবিত।
কে হবে ১১ নং রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ? এ নিয়ে চলছে উদ্বেগ ও আলোচনা। দলের অধিকাংশ কর্মী তাদের পছন্দের নেতাকে সভাপতি পদে দেখতে, চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচারণা। এতে বার বার নাম উঠে আসছে সমাজ সেবক ও কর্মী বান্ধব নেতা সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পীর ।
দলের কর্মী এবং সমর্থকদের প্রিয়মূখ হিসেবে পরিচিত সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পী অসহায়কে দিয়েছেন সহায়তা, সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী, পথচারীসহ সব শ্রেণির মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন। বর্তমানে দলের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা শীর্ষে। দলের কর্মীদের প্রতি তার ভালোবাসা, আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। তাই ১১ নং রতনপুর ইউনিয়নের কর্মীরা সভাপতি হিসেবে তাকেই দেখতে চায়।
সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পীর পিতা মো: মুজিবর তরফদার ১১ নং রতনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি পদে বহাল আছেন এবং কাটুনিয়া রাজবাড়ি পল্লি উন্নয়ন যুব সংঘ ক্লাবের নির্মাণ করেছিলেন ১৯৯৪ সালে। বর্তমানে ক্লাবের সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছেন।
রতনপুর,কদমতলা,কাটুনিয়া রাজবাড়ি এলাকার মিন্টু,কালাম,হেলালসহ কয়েক জন কর্মী জানান,কালিগঞ্জ উপজেলা শাখা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নেতৃবৃন্দদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই ১১নং রতনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করার আগে এই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান এবং যারা পরিশ্রমী দুঃসময়ের রাজপথ লড়াকু সৈনিক ও ত্যাগী কর্মী, সর্ব দিক বিবেচনা করে কমিটি ঘোষণা করুন।
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১১নং রতনপুর ইউনিয়নের বার বার সাবেক সফল সভাপতি ছাত্রনেতা সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পীকে ১১ নম্বর রতনপুর ইউনিয়নে যুবলীগের সভাপতি হিসাবে দেখতে চাই।
জানা গেছে, সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পী আওয়ামীলীগ পরিবারের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে রাজপথে লড়াই করেছেন স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে। এছাড়া বিভিন্ন মিছিল মিটিংসহ আওয়ামীলীগের সকল দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
সমাজের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার রাজনৈতিক যোগ্যতার পরিচয় ও দক্ষতায় একজন কর্মী থেকেই আজকে ১১নং রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের পদ-পত্যাশী যোগ্য। তাই কর্মীরা সততার সঙ্গে রাজনীতি করে আসছে।
পারিবারিক ভাবে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেন ও নিজেকে সেই হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, তাদেরকেই দলে স্বাগত জানান তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জন নেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির আদর্শ ধরে রাখবে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা। মানুষের প্রিয় নেতা সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পীর দলীয় কর্মীদের দ্বারা কোন মানুষের ক্ষতি হয়নি।
সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পী বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত সৈনিক। সে নিজেকে সব সময় সধারণ মানুষেরই একজন মনে করে। তরুণ প্রজন্মের বাতিঘর এবং ইউনিয়ন বাসির গৌরব। নৈতিক গুণসম্পন্ন দক্ষ সাংগঠনিক শক্তির অধিকারী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানবিক ব্যাক্তি।
তাঁর রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা, প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী, সৃষ্টিশীল কাজে উদ্যোগী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন, এবং সামাজিক ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি হিসেবে আজকের এই সময়ে একজন যোগ্য রাজনৈতিক নেতার উদাহরণ হিসাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এসেছে।
তাঁর নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, সৎচ্চরিত্রাবলী এবং রাজনৈতিক জীবনের বিশাল কর্মযজ্ঞই প্রমাণিত করে তিনি রাজনৈতিক মাঠের একজন কর্মদক্ষ কর্মী । সে ছাত্রাবস্থা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের আদর্শকে লালন করে রাজনৈতিক জীবন গড়েছেন।
জামাত-বিএনপির জুলুম অত্যাচারকে সহ্য করেও এখনো পর্যন্ত সকল কর্মীদের একত্রিত রাখতে পেরেছেন। তাঁর নৈতিক গুণাবলী অসাধারণ। তাঁর এই নৈতিক গুণাবলীর জন্যই আজকের রাজনীতির মাঠে তিনি একজন জন নন্দিত, জনপ্রিয় নেতা হিসেবে সকলের নিকট পরিচিত। এই জনপ্রিয়তা থাকার পরও তিনি কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি।
একাধিক ব্যাক্তি আলাপকালে বলেন, এমন একজন নেতার কর্মী হতে পেরে আমাদের অহংকার হয়, আমরা গর্ব করি। সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পী ভাই তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো দল এবং দলের নেতাকর্মীর সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করেননি। তাঁর দলের প্রতিটি সদস্যকে নিজের পরিবারের মতো মনে করেন। তিনি রতনপুর ইউনিয়নের এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে আওয়ামীলীগের মিছিল মিটিং এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানসহ উন্নয়ন কর্মকান্ডে এবং আওয়ামীলীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্চাসেবকলীগকে সুসংগঠিত করতে সারাদিন ছুটে বেড়িয়েছেন।
রাজনীতিতে তাঁর এই কর্মদক্ষতার নেতৃত্ব এই সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে একজন অসাম্প্রদায়িক নেতা। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবার জন্য তাঁর দরজা সব সময় উন্মুক্ত। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে এবং আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনার ভিশনকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি একটি শক্তিশালী সংগঠন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী।
তাঁর হৃদয়ে বাংলাদেশ, চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জয়লাভের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। তারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তি তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন।
একাধিক ভাবে নতুন প্রজন্মের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পী ভাই এর আদর্শ নীতিমালা মায়া মমতা ভালবাসা পেয়ে অন্ধ ভক্ত হয়ে পড়েছেন সবাই। তরুণদের উদ্যোগে এ দেশ এগিয়ে চলবে । সর্বদা নতুন প্রজন্মের যুবলীগের প্রত্যাশা সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পীকে।
এ বিষয় ১১ নং রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদ-প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা সালাউদ্দিন তরফদার বাপ্পী বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, সরকারের দুঃসময়ের রাজপথের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলাম। বর্তমানে রাজনীতিতে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় সকল কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে আছি। করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ব্যক্তিগতভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছি। দলকে সুসংগঠিত করতে কর্মীদের নিয়ে কাজ করছি । এখন দল আমার কর্মযজ্ঞকে মূল্যায়িত করে সভাপতি পদে নির্বাচিত করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।