ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ সেপ্টেম্বর

অনলাইন ডেস্ক:

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। পরে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।

ড. ইউনূসের পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। অপরদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষে আছেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
 
এর আগে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় সাক্ষীকে জেরা করার সময় দফায় দফায় বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান দু’পক্ষের আইনজীবীরা। একপর্যায়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এজলাস কক্ষ। উভয়পক্ষকে শান্ত করতে হস্তক্ষেপ করেন বিচারক নিজেই। সেদিন অবশ্য এজলাস থেকে সাংবাদিকদের বের করে দিয়েছিলেন বিচারক। বিষয়টি নিয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী আপত্তি জানালে ফের সাংবাদিকদের ঢোকার নির্দেশনা দেন বিচারক।
 
 উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের এক শ্রম পরিদর্শক বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
 
পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন আদালত। একইসঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
 
 এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ ২০২২ সালের ১৩ জুন দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন।
 
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৭ অগাস্ট রুল খারিজ করে রায় দেন। ফলে ইউনূসের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)