নয় লাখ ভূমিহীনকে ঘর ও চাষাবাদের জমি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: স্পিকার
অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৯ লাখ ভূমিহীনকে থাকার জন্য ঘর এবং চাষাবাদের জন্য জমিও দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা স্থায়ী আবাসের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে তার কার্যালয়ে ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় স্পিকার এসব কথা বলেন।
এ সময় তারা মাই কনস্টিটিউয়েন্সি অ্যাপ, এসডিজি বাস্তবায়ন, আশ্রয়ণ প্রকল্প, রোহিঙ্গা ইস্যু, এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ, ডেলটা প্লান ২১০০-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় সংসদ সদস্যরা ‘মাই কনস্টিটিউয়েন্সি’ অ্যাপের সাহায্যে নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে শুরু করে কতজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে সেসব বিষয় সম্পর্কে যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থানে বসেই তথ্য জানা যাবে ও সে অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজি সূচকগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে এসডিজির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘মাই কনস্টিটিউয়েন্সি’ অ্যাপে এসডিজি বিষয়ক তথ্যগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে সংসদ সদস্যরা সবসময় হালনাগাদ তথ্য জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, একমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব। ওআইসি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে থেকে আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, সন্তোষজনক উপায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজা বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ ঘটবে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সব রাজনৈতিক দলকে উদ্যোগী হতে হবে।
এ সময় ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি সোনালি দয়ারত্নে, সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক এবং প্রোগ্রাম অফিসার মাহমুদুল হাসানসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।