পাকিস্তান বধের মিশনে দুপুরে নামছে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক:

হার দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। তবে আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। আফগানিস্তানকে উড়িয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করে সাকিব আল হাসানের দল। দু’দিন বিশ্রামের পর সুপার ফোরের লড়াইয়ে বাইশ গজে নামবে টিম টাইগার্স।

বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ৩টায়। খেলাটি দেখা যাবে গাজী টিভি ও টি স্পোর্টসে।

টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন মঙ্গলবার বড় দুঃসংবাদই পেয়েছে টাইগাররা। হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরির কারণে নাজমুল হোসেন শান্তর এশিয়া কাপ মিশন শেষ হয়ে গেছে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরির পর পায়ের পেশিতে টান পড়ে বাঁ-হাতি এই ব্যাটারের। ইনজুরির কারণে তাকে ঠিক কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া শান্তর জায়গায় নতুন করে দলে যুক্ত হয়েছেন লিটন দাস। এর আগেই পাকিস্তানে পৌঁছেছেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।

এদিকে বাংলাদেশ শিবিরে ইনজুরির ধাক্কা থাকলেও পাকিস্তান শিবিরে নেই কোনো সমস্যা। বাবর আজমের দলের সব ক্রিকেটারই পুরোপুরি ফিট আছেন। যদিও লিটন দাস ফেরায় ওপেনিং নিয়ে টাইগার ম্যানেজমেন্টের কিছুটা দুশ্চিন্তার মেঘ কেটেছে। কেননা শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ কিংবা হারিস রউফের মতো তারকা পেসারদের সামলানোর দায়িত্ব শুরুতে ওপেনারদেরই নিতে হবে।

পাকিস্তানের ঘরের মাঠ বলে কথা, সে কারণে তাদের গায়েই ফেভারিটের তকমা লেগে আছে। বাবরের দল ওয়ানডেতে সম্প্রতি র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছে। যদিও ছেড়ে কথা বলবে না টাইগাররাও। আফগানদের বিপক্ষে দেখানো দাপুটে মনোভাব নিয়েই পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে চাইবেন সাকিবরা। ফলে ক্রিকেটে ফেভারিট বলাটা নিছকই উপমা!

এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। যার মধ্যে দুই ম্যাচে জয়, বাকি ১২ ম্যাচে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে টাইগারদের। অবশ্য ২০১৬ ও ২০১৮ এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছে টাইগাররা। এমনকি সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় বাংলাদেশ দলের জন্যও থাকছে বড় সুযোগ। বিশেষ করে পাকিস্তানের মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয়ের স্বাদ নেয়ার সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছে।

ম্যাচের আগের দিন বিসিবির পাঠানো এক ভিডিওতে তাসকিন বলেন, ‘এরকম উইকেটে আসলে বোলারদের মার্জিন অনেক ছোট থাকে। একটু এদিক-সেদিক হলে সেটা বাউন্ডারি হওয়ার চান্স বেশি থাকে। অনেক অ্যাকুরেট বল করতে হয় ভেরিয়েশনের সঙ্গে। পাকিস্তানের ব্যাটিং পৃথিবীর অন্যতম সেরা। তাই সহজ হবে না। কিন্তু আমাদের প্রতি বিশ্বাস আছে, যদি সেরা বোলিংটা করতে পারি একটা ভালো টোটালে আটকাতে পারব।’

পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আলী আগা, ইফতিখার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম পাটোয়ারী, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)