সুপার ফোর কতটা নিশ্চিত বাংলাদেশের?
স্পোর্টস ডেস্ক:
এশিয়া কাপের লড়াইয়ে রোববার বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের মনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, সুপার ফোর কি নিশ্চিত হয়েছে টাইগারদের? উত্তরটা কাগজে কলমে না, তবে আনঅফিশিয়ালি হ্যাঁ।
কিন্তু কীভাবে? সমীকরণ যা বলছে তাতে এই গ্রুপের পরের ম্যাচে শ্রীলংকা জিতলে বাংলাদেশ সোজা সুপার ফোরে। আফগানিস্তান যদি অল্প ব্যবধানে জেতে তাহলেও কোয়ালিফাই করবে টাইগাররা।
আর আফগানিস্তান যদি বিশাল ব্যবধানে জেতে তাহলে শ্রীলংকার রান রেট স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অনেক বড় ধাক্কা খাবে এবং বাংলাদেশের নিচে নেমে যাবে। তাই বলাই যায় বাংলাদেশ সুপার ফোরে চলে গেছে।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত করে বলা যায় না।
মূলত কাজের কাজটা বাংলাদেশের ব্যাটারাই করে দেন। আফগানিস্তানের মতো অন্যতম সেরা বোলিং আক্রমণ সামলানোর চিন্তা করাই কঠিন ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু সব চিন্তা-ভয় তাড়িয়ে রানের ফুল ফোটান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
একজন করলেন দুরন্ত ব্যাটিং, আরেকজন দেখালেন ক্ল্যাসিকাল সব শট। তাতে রেকর্ডবুকের পাতা হলো ওলটপালট। বাংলাদেশ দেখল এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ ৩৩৪ রানের সংগ্রহ।
এত দিন এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ ছিল ৩২৬। ২০১৪ এশিয়া কাপে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে এ রান করেছিল টাইগাররা।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চোখেমুখে ছিল দুশ্চিন্তার ছাপ। যে দলে রশিদ খান, মুজিব উর রহমানের মতো ভয়ংকর স্পিনার রয়েছেন, তাদের নিয়ে তো চিন্তা হওয়ারই কথা।
তবে এই সিলেবাসটা পুরোপুরি আত্মস্থ করেই মাঠে নামেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিশেষ করে শান্ত ও মিরাজ। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামানো হয়, যার ফল হাতেনাতে পায় বাংলাদেশ।
কি চমৎকার ব্যাটিং করলেন এ অলরাউন্ডার। ১১৯ বল খেলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১১২ রান। চোটের কবলে না পড়লে হয়তো ব্যক্তিগত সংগ্রহটা আরো বাড়ত। তবু কম কিসে।
ওয়ানডেতে ২২তম বাংলাদেশি হিসেবে হাজার রানের ঘরে নাম লেখানো, এরপর ওয়ানডেতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি উদযাপন। মিরাজের জন্য দিনটা রেকর্ডের রঙে সাজল।
শান্তও এক দিনের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করে নেন। সঙ্গে নিজের দখলে নেন চলমান এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের আসন। এবার বেশি রান করাদের তালিকায় দুইয়ে থাকা বাবর আজম করেছেন ১৫১। আর শান্তর রান ১৯৩। শেষ পর্যন্ত ৮৯ রানের জন্য। সঙ্গে অলিখিতভাবে সুপার ফোরে যাওয়া।