শ্যামনগরে স্থানীয় চিংড়ি খামার মালিকদের সাথে অধিপরামর্শ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শ্যামনগর প্রতিনিধি:
আজ ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) ২০২৩ সকাল ১০ টায় শ্যামনগর পাবলিক লাইব্রেরীর হলরুমে লিডার্স এর সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে চিংড়ি খামারে সমকাজে সমমজুরী নিশ্চিতকল্পে স্থানীয় চিংড়ি খামার মালিকদের সাথে অধিপরামর্শ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর অর্থায়নে লিডার্স এর বাস্তবায়নে ও বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের স্থানীয় সহযোগিতায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আক্তার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ। কর্মশালার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিসেস খালেদা আইয়ুব ডলি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মানবেন্দ্র দেবনাথ, সহকারী অধ্যাপক, আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয় ও নির্বাহী সদস্য, লিডার্স, জাহিদ সুমন, সাধারণ সম্পাদক, শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাব, আনিস সুমন, সহ-সভাপতি, শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাব, রেখা রানী মৃধা, সভাপতি, শাপলা নারী চিংড়ী শ্রমিক উন্নয়ন সংগঠন। দেবব্রত কুমার গাইনের পরিচালনায় কর্মশালায় সহায়তা প্রদান করেন শওকৎ হোসেন, মাঠ সমন্বয়কারী, লিডার্স। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ আলীম আল-রাজী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, তমালিকা মল্লিক, এ্যাডভোকেসি অফিসার, লিডার্স। কর্মশালায় শ্যামনগর এর চিংড়ি খামার মালিক ২০ জন ও নারী চিংড়ি শ্রমিক উন্নয়ন জোটের ১১ জনসহ মোট ৩১ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেন। কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারী চিংড়ি খামার মালিকগণ নারী শ্রমিকদের নিরাপদ খাবার পানি, টয়লেট সুবিধা প্রদানসহ মজুরী বৃদ্ধির জন্য আশ^াস প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “চিংড়ি খামারে নারী শ্রমিকরা নায্য মজুরী প্্রাপ্তিতে ব নার স্বীকার হয়। বর্তমান সময়ে বাজার দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির বিষয় বিবেচনা করে তাদের মজুরী বৃদ্ধির জন্য চিংড়ি খামার মালিকদের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি তিনি নারী শ্রমিকদের টয়লেট সুবিধা প্রদানসহ প্রচন্ড রৌদ্রে নারী শ্রমিকরা যাতে সাময়িকভাবে বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য শেড তৈরির প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
উপকুলীয় সুন্দরবন অ লে নারী চিংড়ি শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তাদের ন্যায্য মজুরী প্রদান করা এখন একটি যৌক্তিক দাবী। এইরুপ কর্মশালার মাধ্যমে তাদের দাবীগুলি নীতি নির্ধারনী মহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।