বেনাপোলে পাসপোর্টযাত্রীকে পিটিয়ে জখম করলো কাষ্টমস শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য
মো: সাগর হোসেন:
যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোষ্টে ভারত ফেরত জাফর খান নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীকে পিটিয়ে জখম করছে কাষ্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বেনাপোল সার্কেলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৯ আগষ্ট) দুপুরের দিকে।
বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, জাফর খান নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী শনিবার দুপুরের দিকে ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কাষ্টমসে প্রবেশ করলে কাস্টমস কর্মকর্তারা তার ব্যাগ চেকিং শেষে চলে যেতে বলেন। তিনি তখন কাষ্টমস পার হয়ে প্যাসেজ্ঞার টার্মিনালের করিডোরে এলে বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য জাহাঙ্গীর আলম তার পথরোধ করে পুনরায় ব্যাগ তল্লাশি করেন। কিছু না পেয়ে তাকে পুনরায় কাষ্টমস চেকিংয়ে পাঠায়। কাস্টমস কর্মকর্তারা তার ব্যাগ পুনরায় চেকিং করে ছেড়ে দেন।
এ সময় যাত্রী জাফর খান তার ব্যাগ নিয়ে চলে আসতে চাইলে পুনরায় তার পথরোধ করেন সেই শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। এসময় জাহাঙ্গীর আলম ব্যাগ কেড়ে নিয়ে বলেন ৪ ঘন্টা পরে আসেন। এ কথা বললে যাত্রীর সাথে কথাকাটাকাটি হয় জাহাঙ্গীর আলমের। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য যাত্রীকে কিল ঘুষি মারতে মারতে বের করে দেয়। পরে চেকপোস্ট কাস্টমস এর রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন জাহান তাকে উদ্ধার করে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। পরে যাত্রী জাফর খান বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী যাত্রী জাফর খান জানান, ভারত থেকে আসার সময় বেনাপোল কাস্টমসের বারান্দায় সাদা পোষাকে একজন লোক আমার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে বলেন ৪ ঘন্টা পরে আসেন। এ কথা বললে আমার সাথে তার কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি আমাকে কিল ঘুষি মারতে মারতে কাস্টমস কম্পাউন্ট থেকে করে দেয়। পরে চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন জাহান আমাকে উদ্ধার করে তার রুমে নিয়ে আসেন। পরে জানতে পারি সাদা পোষাকের ব্যক্তি কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার একজন সদস্য। নাম জাহাঙ্গীর আলম।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শারমিন জাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাসপোর্টযাত্রীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এটা দুঃখজনক। বিষয়টি শুল্ক গোয়েন্দা উপ-পরিচালক আরেফিন জাহেদী স্যারকে জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আরেফিন জাহেদীর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ম্যাসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোন জবাব দেননি।