পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
নিউজ ডেস্ক:
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্সে এবার মিলেছে ২৩ বস্তা টাকা ও স্বর্ণালংকার। শনিবার সকালে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এখন চলছে গণনার কাজ। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ঐতিহাসিক এই মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। এবার খোলা হয়েছে ৩ মাস ১৩ দিন পর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এর আগে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৬ মে ৪ মাস পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।
মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এই মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূইয়া জানান, পাগলা মসজিদের খরচ চালিয়ে অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। পরে মসজিদ পরিচালানা কমিটির অনুমোদনে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় এবং অসহায় ও জটিল রোগীদের সহায়তা করা হয়।