চুরি করতে এসে ডিম ভেজে খেল ৪ চোর, অতঃপর…
নিউজ ডেস্ক:
শুক্রবার রাত ৮টা। ঘরের চালার টিন খুলে প্রবাসীর ফাঁকা বাড়িতে প্রবেশ করেন চার চোর। এরপর ড্রয়ারের তালা ভেঙে নগদ এক লাখ টাকা ও কানের দুল চুরি করেন তারা। একপর্যায়ে ফ্রিজে রাখা ডিম নিয়ে গ্যাসের চুলায় ভেজে খান তারা। এতে বাধে বিপত্তি। প্রতিবেশিরা বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির মালিককে খবর দেন। পরে বাড়ির মালিক এসে চোর চক্রের এক সদস্যকে আটক করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের গুড়িপাড়া গ্রামের প্রবাসী পলাশ ফকিরের বাড়িতে। আটককৃত মো. সাদেক খান রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকার মো. আলাউদ্দিন খানের ছেলে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকেন পলাশ ফকির। বাড়িতে কেউ থাকত না। মাঝে মধ্যে তার মা আঙ্গুরা বেগম এসে থাকতেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শোভন ফকির নামে এক প্রতিবেশি পলাশ ফকিরের ঘরে মৃদু আলো দেখতে পেয়ে আঙ্গুরা বেগমকে খবর দেন। পরে আঙ্গুরা বেগম এসে ঘরের দরজা খুলে সাদেক খানকে আটক করেন। তবে তার আগেই ড্রয়ারের তালা ভেঙে নগদ এক লাখ টাকা ও কানের দুল চুরি করে নিয়ে পালিয়েছেন সাদেক খানের সহযোগীরা।
সাদেক খানকে আটক করার পরে যানা যায়, তার সহযোগীরা দ্রুত পালিয়ে চলে যায় ঘটনাস্থল থেকে। পরে আঙ্গুরা বেগমসহ স্থানীয়রা দেখতে পায় ঘরের চালার টিন খুলে চোর ঘরে প্রবেশ করেছে। তারা ফ্রিজ থেকে ডিম নিয়ে গ্যাসের চুলায় ভেজে খেয়েছে। এছাড়া ড্রয়ারের তালা ভেঙে নগদ এক লাখ টাকা ও দুইটি কানের দুল চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে সাদেক খানের সহযোগীরা। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তারা এসে সাদেক খানকে আটক করে নিয়ে যায়।
আঙ্গুরা বেগম জানান, আমি বাড়িতে ছিলাম না। প্রতিবেশির কাছ থেকে খবর পেয়ে লোকজন নিয়ে গিয়ে চোরকে আটক করেছি। চোর কী কী চুরি করছে তা খুঁজতে গিয়ে দেখি ফ্রিজ থেকে ডিম নিয়ে ভেজে খেয়েছে। আমার ছেলে বিদেশে থাকে। বাড়িতে আমিই মাঝে মধ্যে এসে থাকি। ঘর ফাঁকা থাকায় চোর নির্বিঘ্নে ঘরে ঢুকে ডিম ভেজে খেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঘরের চালার টিন খুলে প্রবেশ করেছে চোরেরা।
পালং মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, একজন চোরকে আটক করে পুলিশকে খবর দিয়েছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।