ব্যালন ডি’অর নিয়ে ভাবছি না: মেসি
স্পোর্টস ডেস্ক:
ফুটবলের ইতিহাসে সম্ভাব্য সব ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন লিওনেল মেসি। তবে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি ছুঁয়ে না দেখার আক্ষেপ ছিল তার। তবে সেই অধরা স্বপ্নকে ছুঁয়েছেন লিও। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কাতারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন এ আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
বিশ্বকাপ মেসির জীবনে অপ্রাপ্তির ছায়া হয়ে ছিল, সে কথা জানিয়েছেন তিনি নিজেও। তবে আক্ষেপ ঘুচে এখন তার খেলোয়াড়ি জীবন পরিপূর্ণ। অপ্রাপ্তি বলতে কোনো কিছুই বাকি নেই। তারপরও কিছু কিছু আলোচনা রয়ে যায়।
আগামী অক্টোবরে ঘোষণা করা হবে ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম। আর সে তালিকায় সেরা তিনের ওপরের দিকেই রয়েছেন আলবিসেলেস্তে মহানায়ক মেসি। তবে এখন নাকি ব্যালন ডি’অর নিয়ে ভাবছেন না ৩৬ বছর বয়সী এ কিংবদন্তি ফুটবলার।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ৭ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারজুড়ে অনেকবার বলেছি- ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার নয়। ব্যক্তিগত দিক থেকে সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার কিন্তু আমি কখনোই এটাকে গুরুত্ব দেইনি। সবসময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের হয়ে কোনো অর্জন। বিশ্বকাপ জেতার পর, যেটা আমি জিততে পারছিলাম না; এখন আমি এমনকি ব্যালন ডি’অর নিয়ে ভাবছিও না। ’
লিও বলেন, ‘বিশ্বকাপ ছিল সবচেয়ে সেরা অর্জন আর এখন আমি সময়গুলো উপভোগ করছি কেবল। সত্যিটা হচ্ছে আমি ব্যালন ডি’অর নিয়ে ভাবছি না। যদি এটা আসে, তাহলে সুন্দর একটা ব্যাপার হবে। যদি না পাই, কিছুই হবে না। এখন ইন্টার মায়ামির হয়ে আমার নতুন চাওয়া আছে। ’
এ মৌসুমের শেষে ইউরোপ ছেড়ে এসেছেন মেসি। পিএসজি থেকে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে। নতুন শহরে কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন? শনিবার ভোরে দলটির হয়ে লিগ কাপের ফাইনাল খেলতে নামবেন মেসি, ক্লাবের ইতিহাসেই যেটি প্রথম। এর আগে মেসি কথা বলেছেন মায়ামি শহর নিয়েও।
তিনি বলেন, ‘আমি এই শহরকে দেখে চমকে যাইনি, কারণ এখানে আগেও ছিলাম। জানতাম এখানকার মানুষ কেমন আর এরই মধ্যে আমি পছন্দ করতে শুরু করেছি এসব। প্রতিদিন এখানে থাকা আমাকে শহরের আরো কাছে নিয়ে যাচ্ছে আর এটাকে আরো ভালোভাবে চেনাচ্ছে। আমি খুশি, জীবনের নতুন ধাপ উপভোগ করছি, এই দেশে থাকার অভিজ্ঞতা নিচ্ছি। যেটা সবসময়ই আমার মাথায় ছিল। ’
‘আমি প্রায় মাস দেড়েক ছুটিতে ছিলাম এখানে আসার আগে। অনুশীলন, ম্যাচের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া শুরুতে কঠিন ছিল। এখানে অনেক গরম ছিল কখনো কখনো আপনি এটা অনুভব করবেন। তবে আমি এখন মানিয়ে নিচ্ছি আর খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।’- যোগ করেন মেসি।