ডুমুরিয়ায় শিশু তানিসাকে কুপিয়ে জখম : ৬ দিনেও মামলা হয়নি
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
৬ দিনেও ডুমুরিয়া উপজেলার বরুনা গ্রামের ৬ বছরের শিশু তানিসাকে কুপিয়ে জখমকারী আপন চাচা আবু মুছা গাজী (৩৫)কে আটক করেনি পুলিশ। গ্রহন করেনি মামলা। স্থানীয় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সরেজমিন যেয়ে ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, পারিবারিক কলহে আবু মুছা গাজী গত ৯ আগষ্ট সন্ধ্যায় তার আপন ভাই ও ভাইপোদের ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দেয়। তাদের ভয়ে সকলে দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করলে হাতের কাছে তার আপন ভাই আল আমিন গাজীর ৬ বছরের শিশু তানিসাকে পেয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এসময়ে সুচতুর মুছা গাজী চেচুড়িঁ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই জাহাঙ্গীরকে ডেকে এনে তাকে বেধেঁ রেখে মারপিট করার নাটক করে। এলাকাবাসী তার নাটকের কথা উপস্থাপন করতে গেলে এস আই জাহাঙ্গীর আলম তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে এলাকাবাসী জানায়। এ ঘটনায় আল আমিন গাজী ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ঘটনার পরের দিন। ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও আজও ডুমুরিয়া থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে শিশু তানিসার ওপর এ অমানবিক নির্যাতনের পরেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুস সালাম বলেন, মুছা এলাকায় প্রতারক হিসেবে পরিচিত। প্রায় অনৈতিক কর্মকান্ড করে। এবার তার আপন ভাইজীকে কুপিয়ে জখম করেছে। অথচ পুলিশ অদৃশ্য কারণে নিরব। সাবেক চেয়ারম্যান রেজোয়ান মোল্লা, সাবেক ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান, আলহাজ্ব সালাম ফকিরসহ এলাকার অধিকাংশের দাবি ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। অথচ পুলিশ এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে চেচুড়িঁ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনা ঘটার সাথে সাথে তিনি ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন। মুছা টাউট উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন থানা দেখভাল করছেন। ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ কণি মিয়া বলেন, মামলাটি প্রক্রিয়াধীণ।
Please follow and like us: