তালায় একটি বিধবা ভাতার কার্ড চায় অসহায় নুরুজাহান
Post Views:
৩৪৭
ফারুক সাগর:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় অসহায় নরুহাজান খাতুন (৫৬) একটি বিধবা ভাতার কার্ড চায়। সে খেসরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের মৃত: আবু বক্কর গাজীর স্ত্রী। তার স্বামী প্রায় ২০ বছর আগে মারা যায়।
বর্তমানে তার বসতবাড়ি কবোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানিতে ভেসে যাওয়া মাথা গোঁজার মত জায়গা নেই। দিন মজুরী করে এতদিন সংসার চালাতেন তিনি। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এত দিনেও তাঁর কপালে জোটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড।
সরোজমিনে গেলে নুরজাহান খাতুন বলেন,২০ বছর আগে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে দিনমজুর তার স্বামী মারা যায়। মেয়ে পারভীনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর সংসারে বেশিদিন থাকতে পারেনি সে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিবাহ দিলে সেই ঘরে দু’টি শিশু সন্তানসহ তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় স্বামী। নুরজাহানের দুই ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পৃথক সংসার চালায়। কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের তোড়ে নদী ভাঙনে বসতবাড়ি ভেসে গেছে। এতদিন মজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ তার শরীর অসুস্থ হওয়ায় কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। হাঁটাচলা করাও তাঁর পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।নিজের বলতে জীবনটা ছাড়া আর কিছুই যেন নেই তার। একখন্ড জমি নেই, মাথা গোঁজার মত একটি ঘরও নেই। পাশের ডুমুরিয়া গ্রামে ছেলের ভাঙ্গা ঘরের বারান্দায় মাঝে মাঝে যেয়ে থাকে সে। বর্তমানে শরীরে কোন বল নেই তার। একটা বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ২০ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরের কাছে গিয়েছে। কিন্তু এখনও কপালে ভাতার একটি কার্ড জোটে নাই বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি নির্বাচিত হবার পর এখনও বিধবা ভাতার কার্ডের তালিকা হয় নাই। নুরজাহান একজন অসহায় মহিলা। আগামীতে কার্ড আসলে তাকে অবশ্যই দেওয়া হবে।
খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। আগামীতে কার্ড আসলে নুরজাহান খাতুনকে বিধবা ভাতার কার্ডের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
তালা উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমনা শারমিন জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্যরা আমাদের দপ্তরে তালিকা পাঠায়। পরে আমরা সে সকল কার্ড যাচাই বাছাই করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাই। প্রকৃত বিধবা হলে অবশ্যই পরবর্তীতে তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।