আশাশুনিতে বয়স্ক বিধবা নারীর মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, ছেলে ও ছেলে বউ গ্রেপ্তার

ইব্রা‌হিম খ‌লিল:
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আয়েশা খাতুন (৬০) নামের এক বয়স্ক বিধবা মহিলার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে আশাশুনির ফকরাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।আয়েশা খাতুন আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে বালিশ চাঁপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে,এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এদিকে, পুলিশ নিহতের ছেলে রমজান আলী (৩২) ও ছেলে বউ মিনারা খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আয়েশা খাতুন ফকরাবাদ গ্রামের মৃত আক্কাস মোল্যার স্ত্রী।

মামলার বাদি নিহতের ভাই মোন্তাজুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা খাতুন জানান, আক্কাছ মোল্যার মৃত্যুর পর থেকে আয়েশা খাতুন ছেলের সংসারে থাকতেন। খাওয়া দাওয়া নিয়ে প্রায়ই ছেলে বউ তাকে বকাঝকা ও মারপিট করতো। বুধবার সকালে তার ছেলে রমজান ও বউমা মিনারা খাতুন তার সাথে প্রথমে বকাঝকা ও পরে মারপিট শুরু করে।

গণ্ডগোলের এক পর্যায়ে তারা বালিশ চাঁপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পরে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দেয়। এরপর তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে চিৎকার করতে থাকলে প্রতিবেশি শিল্পী খাতুনসহ অন্যরা এগিয়ে এসে ওড়ানা কেটে তাকে আড়া থেকে নামান। তৎক্ষনাৎ স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডাকা হলে  তিনি পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদি নিহতের ভাই মোন্তাজুল ইসলাম জানান,ভাগ্নে ও ভাগ্নে বউয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন আমার বোন।বোনকে হত্যা করে আড়ায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন,আমরাতো সেটা দেখিনি। তবে বোনের মৃত্যুর সংবাদে
ভাগ্নে পালিয়ে যাচ্ছিল। একপরযায়ে পাশের রামনগর গ্রাম থেকে জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এঘটনায় নিহতের ভাই মোন্তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে সঠিকভাবে জানা যাবে,তার মৃত্যুর কারণ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)