ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দূর্নীতির অভিযোগ
আব্দুর রশিদ, ডুমুরিয়া :
ডুমুরিয়ায় মাধ্যমিক পর্যায়ে কর্মচারী নিয়োগে আবারও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবার হয়েছে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মানা হয়নি নিয়মনীতি। বিদ্যালয়টির নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য রবিউল ইসলাম সানা ও এক পরীক্ষার্থী এবং একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বলেন, ৪ টি পদে ৩১ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পদ ৪ টি হচ্ছে কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসিটেন্ট, অফিস সহায়ক, আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী। কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসিটেন্ট পদে ১১ জন আবেদন করেন পরীক্ষা দেন ৯ জন, অফিস সহায়ক পদে ১৭ জন আবেদন করেন পরীক্ষা দেন ১৩ জন, আয়া পদে ৪ জন আবেদন করেন, পরীক্ষা দেন ৩ জন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ৪ জন আবেদন করেন। পরীক্ষা দেন ৪ জন। শনিবার সকাল ১১ টায় নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহন না করে ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে নেয়া হয় পরীক্ষা। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডিজি প্রতিনিধি। তার অফিস কক্ষে কোন প্রকার নিয়ম না মেনে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিউল ইসলাম সানা নামে অভিভাবক সদস্য অভিযোগ করেন, লোক দেখানো পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। চন্দনা রায় নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা সঠিক ভাবে নেয়া হয়নি।
তবে ডিজির প্রতিনিধি সালমা রহমান বলেন, প্রশ্ন করার সময় বোর্ডেও ৫ জন উপস্হিত ছিলেন। এছাড়া আরও দু’জন ইউপি সদস্য উপস্হিত ছিলেন বলে তিনি জানান।
বোর্ডের সদস্য বাদে কেউ থাকতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, অনেকে উপস্হিত ছিলেন তবে কোন প্রশ্ন করেননি। প্রধান শিক্ষক শংকর মন্ডল বলেন, সকল প্রকার নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এ ৪ পদে নিয়োগে পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
Please follow and like us: