জলাবদ্ধতা নিরসন ও সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিতে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার:
জলাবদ্ধতা নিরসন ও সাতক্ষীরা পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রোববার (২৩ জুলাই) সকালে শহরের শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের প্রধান ফটকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এবং প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সম্মিলিতভাবে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও অংশ নেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, উদীচীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা ভ‚মিহীন সমিতির সভাপতি আব্দুস সামাদ, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সংগঠক হাবিবুল হাসান, কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্কের পরিচালক রাইসুল ইসলাম, সুলতানপুরের বাসিন্দা হামিদা খাতুন, রাজার বাগানের বাসিন্দা তামান্না পারভীন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বর্ষা মৌসুম চললেও প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। তারপরও যা ছিটে ফোটা বৃষ্টি হচ্ছে, তাতেই সাতক্ষীরা পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ভোগের সীমা থাকছে না।
বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার ড্রেনগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের কারণে তা দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি রাস্তায় উপচে উঠছে। অনেক স্থানে পানি নিষ্কামনের মুখ না রেখেই ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বর্ষার পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় তাতে মশার জন্ম হচ্ছে। বাড়ছে ডেঙ্গুর বংশ বিস্তারের শংকা। আবার অনেক এলাকায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেনই নেই। কিন্তু সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। প্রথম শ্রেণীর পৌরসবা হলেও ন্যূনতম নাগরিক সেবা পাচ্ছে না মানুষ।
বক্তারা জলাবদ্ধতা নিরসন ও সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পরে একই দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন নেতৃবৃন্দ। #