যুক্তরাষ্ট্রে শস্যক্ষেত থেকে ৭ শতাধিক স্বর্ণমুদ্রা উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য কেনটাকির ব্লুগ্রাস স্টেট এলাকার একটি কৃষি খামারের জমি খুঁড়তে গিয়ে ৭ শতাধিক স্বর্ণমুদ্রা পেয়েছেন এক কৃষক। অ্যান্টিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কোম্পানি গোভমিন্ট ডটকম তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে এ তথ্য।

কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই স্বর্ণমুদ্রাগুলোর সবই তৈরি করা হয়েছিল ১৮৪০ থেকে ১৮৬৩ সালের মধ্যে। সে সময় গৃহযুদ্ধ চলছিল যুক্তরাষ্ট্রে।

উদ্ধার হওয়া এই মুদ্রাগুলো কোনোটি ১ ডলার, কোনোটি ১০ ডলার এবং কোনোটি বা ২০ ডলারের। ওই সময়ে ২০ ডলার মূল্যমানের বেশি অর্থের স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যেতো না যুক্তরাষ্ট্রে।

২০ ডলারের স্বর্ণমুদ্রাগুলো থাকার ঘটনা অবশ্য খুব বড় একটি ব্যাপার। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই মানের স্বর্ণমুদ্রা বাজারে অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় অনেক কম ছাড়া হয়েছে। যে ৭০০ স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া গেছে, সেগুলোর মধ্যে ২০ ডলারের মুদ্রা রয়েছে মাত্র ১৮টি।

যে খামারের জমি থেকে এই মুদ্রাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, তার নাম এবং যে কৃষক জমি খুঁড়ে এগুলো পেয়েছেন, তার পরিচয় গোপন রেখেছে গোভমিন্ট ডট কম। তবে ওয়েবসাইটে একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছে গোভমিন্ট। সেখানে দেখা গেছে— একজন কৃষক জমি খুঁড়ছেন এবং হঠাৎ করেই জমি থেকে একটি স্বর্ণমুদ্রা তুলে ধরে বলছেন, ‘কী দারুন জিনিস পাওয়া গেল!’

খামারের মালিকের কাছ থেকে স্বর্ণমুদ্রাগুলো কিনে নিয়েছে গোভমিন্ট ডট কম; আর এক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করেছে জেফ গ্যারেট নামের আর একটি অ্যান্টিক মুদ্রা ব্যবসায়ী সংস্থা।

এক বিবৃতিতে জেফ গ্যারেট জানিয়েছে, ১৮৬১ থেকে ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যে ১১টি রাজ্য কেন্দ্রীয় ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল কেনটাকি ছিল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। এমন হতে পারে যে, গৃহযুদ্ধের সময় কেন্টাকির কোনো ধনী ব্যক্তি লুটপাটের হাত থেকে রক্ষা করতে নিজের স্বর্ণমুদ্রাগুলো এই জমিতে পুঁতে রেখেছিলেন। পরে তিনি মারা যান এবং তার বংশধররা এই অর্থগোপনের ব্যাপারটি জানতো না। তবে যা ই হোক এই মুদ্রাগুলোর বাহ্যিক মূল্যের চেয়ে ঐতিহাসিক মূল্য অনেক বেশি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)