সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের ২৮ জন মেধাবী ছাত্রীর মাঝে বাই সাইকেল বিতরণ
রঘুনাথ খাঁ:
বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। পায়ে হেঁটেই স্কুলে আসতাাম। যাওয়া ও আসায় সময় লাাগতো প্রায় দেড় ঘণ্টা। তাই সময় কম থাকলে মাঝে মাঝে ভ্যানে যাতায়াত করতে হয়। সাইকেল পাওয়ায় কষ্টের পাশাপাশি সময় ও টাকা বাঁচবে। শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার সদরের আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাই সাইকেল পাওয়ার পর এমনই অনুভুতি ব্যক্ত করেন ইন্দিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম জুনিয়র হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী আজমিরা খাতুন।
আবাদেরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ফারহানা সুলতানা বলেন, বাবা কৃষক। কোন রকমে সংসার চালাতে কষ্ট হয় বাবার। বাবার ইচ্ছা থাকার পরও তিন কিলোমিটার দূরে স্কুলে যাওয়া ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য একটি সাইকেল কিনে দিতে পারেননি। তাই ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সাইকেল পেয়ে যার পর নেই খুশী। এতে পড়াশুনার প্রতি আরো মনোযোগ বাড়বে।
একইভাবে বাজারে জিনিসপত্রের যা দাম তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থার বর্ণনা দিয়ে চুপড়িয়া ছিদ্দিকীয়া দাখিলণ মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মোনা পারভিন বলেন, বর্তমান সরকার তাােদরকে শুধু বাই সাইকেল নয়, বছরের বিভিন্ন সময়ে পড়াশুনার নানা সরঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন।
শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদরের আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্বা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি’র হাত থেকে মাধ্যমিক স্তরের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৮জন শিক্ষার্থী বাই সাইকেল পাওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এ অনুভুতি প্রকাশ করেন। এলজিএসপি-৩ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল হতে আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পাওয়া তিন লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ের প্রথম ধাপে এ বাই সাইকেল বিতরণ করা হয়।
আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রেবেকা খাতুনের সভাপতিত্বে পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত বাই সাইকেল বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমনা আইরিন, আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কবীর হোসেন মিলন, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. রেজাউল করিম, তুজলপুর জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম, আওয়ামী লীগ নেতা গোপাল চন্দ্র ঘোষাল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, নতুন বাই সাইকেল পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়াশুনার আগ্রহ ও প্রতিযোগিতা বাড়বে।