প্রথম ফুটবলার হিসেবে রোনালদোর নতুন রেকর্ড
স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর রেকর্ড যেন একে অপরের সমার্থক শব্দ। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পর্তুগিজ মহাতারকা নিজেকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে গেছেন, যেখানে খেলতে নামলেই নিত্যনতুন রেকর্ড তার পায়ে গড়াগড়ি করে। তেমনই আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন সিআর সেভেন। যা ইতিহাসে প্রথমবার দেখেছে বিশ্ব।
ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে ২০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোনালদো। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে থাকা এ কিংবদন্তি যে বিদায়ের আগে ম্যাচের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে নেবেন তা বলাই বাহুল্য।
অবশ্য রোনালদোর পেছনে থাকা অখ্যাত কয়েকজনও তাকে টপকানোর আশায় আছে। সেরা পাঁচ কিংবা ছয়ে চেনা নাম কেবল দু’জন। ইউরোপের ফুটবলারদের মাঝে এ তালিকায় দুইয়ে রামোস। স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এই ডিফেন্ডার দেশটির হয়ে খেলেছেন ১৮০ ম্যাচ।
মাঝের চারজনকে খুব বেশি লোকে চেনার কথাও না। তালিকার দুইয়ে কুয়েতের মুতাওয়া। তিনি দেশের হয়ে খেলেছেন ১৯৬ ম্যাচ। আর মুতাওয়ার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছেন তিনে থাকা মালয়েশিয়ার সিন অ্যান। এরপর চার ও পাঁচে যথাক্রমে মিসরের হাসান এবং ওমানের মোবারক।
লাতিনে আবার লিওনেল মেসি সবার ওপরে। ১৭৫ ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনা ও কনমেবলে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। এ অঞ্চলে দুইয়ে আছেন ইকুয়েডরের হার্তাদো। তিনি খেলেছেন ১৬৮ ম্যাচ। আর তিনে উরুগুয়ের দিয়াগো গদিন। এখন পর্যন্ত ১৬১ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন এই ডিফেন্ডার।
ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার কাফু। সেলেসাওদের হয়ে ১৪২ ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। জার্মানিতে শীর্ষে লোথার ম্যাথাউস। তিনি ১৫০টি ম্যাচে খেলেছেন। তবে এসব পরিসংখ্যানকে পাশ কাটিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এখন ক্রিস্টিয়ানো।
রেকর্ড গড়া ম্যাচটি গোল দিয়েই রাঙিয়েছেন সিআর সেভেন। তার একমাত্র গোলে আইসল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরো বাছাইয়ে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে পর্তুগাল।