এশিয়া কাপ নিয়ে যা বলল এসিসি
স্পোর্টস ডেস্ক:
পাকিস্তানের মাটিতেই বসবে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আয়োজক দেশের ‘হাইব্রিড মডেলেই’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে টুর্নামেন্টটি। এশিয়া কাপে কোয়ালিফাই করা সব দেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
এর আগে পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে দ্বিমত পোষণ করে ভারত। এতে করে বিপাকে পরে আয়োজক দেশটি। অবশ্য পাল্টা হুমকিও দিয়ে রেখেছিল দ্য গ্রিন ম্যানরা। তারা জানিয়েছিল, ভারত যদি এশিয়া কাপে অংশ না নেয় তাহলে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ বয়কট করবে পাকিস্তান। মূলত আসন্ন বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। আর এজন্যই হয়তো এশিয়া কাপে খেলতে রাজি হয়েছেন রোহিত-কোহলিরা।
পাকিস্তানের হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী, এশিয়া কাপের প্রথম অংশের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের মাটিতে খেলা হবে। পরে ভারতের সব ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে। অবশ্য অতি গরমের কারণে সেই প্রস্তাবে না বলে দেয় বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। এজন্য পাকিস্তানের সহযোগী দেশ হিসেবে নতুন ভেন্যুর নাম ঘোষণা করেছে এসিসি।
তবে সেটি আরব আমিরাতে নয়, বরং পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগী আয়োজক হিসেবে থাকছে শ্রীলংকা। পাকিস্তানের বাইরে এশিয়া কাপের বেশিরভাগ ম্যাচই লংকানদের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) এই তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার এক প্রতিবেদনে পিটিআই বলছে, পাকিস্তানের দেওয়া প্রস্তাব অনুসারে এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম চারটি ম্যাচ তাদের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভারত এবং টুর্নামেন্টের ফাইনালসহ বাকি ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানে হওয়া গ্রুপ পর্বের এক ম্যাচে পাকিস্তান ও নেপাল মুখোমুখি হবে। এছাড়া শ্রীলংকা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানেরও একটি করে ম্যাচ হবে পাকিস্তানে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) এই বিষয়ে এসিসি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। পাকিস্তানের এই প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে ভারতের মাটিতে হতে যাওয়া অক্টোবর-নভেম্বরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাদের অংশগ্রহণে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে তারা এশিয়া কাপ অন্য কোনো দেশে কিংবা তাদের ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলে, বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকি দিয়ে আসছিল পাকিস্তান।