যেসব যুক্তিতে মামলা বাতিল চান পরীমনির আইনজীবী
বিনোদন ডেস্ক:
আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মাদক মামলা বাতিল হবে কিনা, এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা বাতিল সংক্রান্ত শুনানি শুরু হয়।
বাসা থেকে জব্দ করা সাত বোতল মদ পুলিশ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল। মামলার এজাহার ও চার্জশিটে গরমিল রয়েছে— এমন চার যুক্তিতে এ মামলা বাতিলের দাবি চান অভিনেত্রীর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
তিনি বলেন, পরীমনিকে আটকের ২৩ ঘণ্টা পর মামলা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। জব্দকৃত মাদকে অ্যালকোহলের পরিমাণ ৪০ শতাংশের কথা বলা হলেও কেমিক্যাল রিপোর্ট বলছে, তাতে ১১-১২ শতাংশ অ্যালকোহল ছিল। এ ছাড়া নায়িকার গাড়িতে করে মাদক বহনের বিষয়টিও গ্রহণযোগ্য নয়।
এ ছাড়া পরীমনির আইনজীবী বলেন, তার মাদকের লাইসেন্স ছিল। মহামারি করোনার কারণে লাইসেন্সের নবায়ন হয়নি। মামলা হয়েছে এক মাস পর। এক মাস তার নবায়ন ছিল না। সে সময় করোনার কারণে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা হতো না।
এদিকে পাল্টা জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ২০২০ সালের জুন মাসে মাদক গ্রহণের লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হয় পরীমনির। ঘটনাটি ঘটেছে এক বছরেরও বেশি সময় পরে এসে। এ ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে করা মামলাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা বলার কোনো সুযোগ নেই।
উল্লেখ, ২০২১ সালের ৪ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালায় পরীমনির বনানীর বাসায়। অভিযানে অভিনেত্রীর বাসা থেকে মদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। পরে মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। প্রায় এক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। আর বর্তমানে মামলাটির বিচারকাজ নিম্ন আদালতে স্থগিত রয়েছে।